ড. ইউনূসকে শ্রমিকদের লভ্যাংশ দেওয়ার রায়ে হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৩, ০৫:১৭ পিএম
নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ কল্যাণ থেকে চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশ দিতে শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে গ্রামীণ কল্যাণ থেকে চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশ দিতে শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের রায় কেন অবৈধ হবে না- তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শ্রম সচিবসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এএফ হাসান আরিফ ও ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। শ্রমিকদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান ও অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী শরীফ।
পরে অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী শরীফ বলেন, গত ৩ এপ্রিল ড. ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ কল্যাণ থেকে চাকরিচ্যুত ১০৬ শ্রমিককে শ্রম আইন অনুযায়ী কোম্পানির লভ্যাংশ পরিশোধ করতে রায় দেন শ্রম অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল। এই রায় চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন ড. ইউনূস।
গোলাম রব্বানী শরীফ সাংবাদিকদের বলেন, ২০০৬ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ওই ১০৬ কর্মকর্তা-কর্মচারী গ্রামীণ কল্যাণে কর্মরত ছিলেন। ২০০৬-২০১৩ অর্থবছরে কোম্পানির লভ্যাংশ থেকে তাদের বঞ্চিত করা হয়। শ্রম আইনে বলা আছে, শ্রম আইন কার্যকর হওয়ার দিন থেকে কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের কল্যাণ ও অংশগ্রহণ তহবিল দিতে হবে। এই লভ্যাংশ না পাওয়ার কারণে প্রথমে তারা গ্রামীণ কল্যাণকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। কিন্তু লিগ্যাল নোটিশ দেওয়ার পরও ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় তারা মামলা করেন।