সত্য বলার নিরন্তর সাহসের নাম যুগান্তর: সালমা ইসলাম
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫৪ পিএম
যুগান্তরের রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছেন যুগান্তর প্রকাশক ও যমুনা গ্রুপ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম। ছবি যুগান্তর
যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও দৈনিক যুগান্তরের প্রকাশক অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম বলেছেন, সত্য কথা বলার নিরন্তর সাহসের নাম যুগান্তর। সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলাই যুগান্তরের ধর্ম। যুগান্তর সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। পত্রিকাটির ২৫ বছরের ইতিহাস সত্য উচ্চারণের এক দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস। যুগান্তরকে একটি বস্তুনিষ্ঠ, সাহসী ও জনগণের মুখপত্র হিসাবে গড়ে তুলতে আমরা সব সময় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
রাজধানীর যমুনা
ফিউচার পার্কে মুঘল কনভেনশন সেন্টারে শনিবার পত্রিকাটির রজতজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে
আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
সালমা ইসলাম
বলেন, হাঁটি হাঁটি পা পা করে ২৫ পেরিয়ে ২৬-এ পদার্পণ করল যুগান্তর। আজ যার কথা বারবার
মনে পড়ছে, তিনি হলেন যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম। যিনি ছিলেন
যুগান্তরের স্বপ্নদ্রষ্টা। দেশের খেটে খাওয়া মানুষের কথা চিন্তা করে আজ থেকে ২৫ বছর
আগে তিনি (নুরুল ইসলাম) যুগান্তর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই দিনে আমি তার বিদেহী আত্মার
মাগফিরাত কামনা করছি। নুরুল ইসলাম প্রতিষ্ঠানটি নির্যাতিত-নিপীড়িত অসহায় মানুষের কণ্ঠস্বর
হিসাবে গড়ে তুলেছিলেন। এটা করতে গিয়ে তাকে অনেক সময় কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে
হয়েছে।
যুগান্তর প্রকাশক
বলেন, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালন করেছে। ফ্যাসিস্টের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশন ছাত্র-জনতার
পাশে দাঁড়িয়ে কঠিন সত্য প্রকাশ করেছে। অনেক বাধা-বিপত্তি, হুমকি-ধমকি দিয়ে যুগান্তর-যমুনা
টিভিকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। এই দুটি মিডিয়া ছাত্র-জনতার পক্ষে লড়াই করেছে। গত ৫ আগস্ট
হাজার হাজার ছাত্র-জনতা ‘যুগান্তর’ ও ‘যমুনা টিভি’ বলে যমুনা ফিউচার পার্ককে স্লোগানে
মুখরিত করেছিল। এতেই প্রমাণিত হয় যুগান্তর ও যমুনা টিভি সাধারণ মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায়
স্থান করে নিয়েছে। ভবিষ্যতেও যুগান্তর ও যমুনা টিভির জন্য আপনাদের সবার আন্তরিক সহযোগিতা
কামনা করছি।
যমুনা গ্রুপ
চেয়ারম্যান ও যুগান্তর প্রকাশক অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি বিভিন্ন
রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে মিলনমেলায় পরিণত হয়।
শুভেচ্ছা জানাতে আসেন অন্তর্বর্তী সরকারের নৌপরিবহণ এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের
উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, পরিবেশ বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
যুগান্তরের
২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে শুভেচ্ছা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম
আলমগীর, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য
ড. আবদুল মঈন খান ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির
রিজভী, হেফাজত ইসলামের মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত
ছিলেন— যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম ইসলাম, যমুনা গ্রুপ পরিচালক মনিকা
নাজনীন ইসলাম, রোজালিন ইসলাম, সোনিয়া সারিয়াত ইসলাম, এসএম আব্দুল ওয়াদুদ, যুগান্তর
সম্পাদক আবদুল হাই শিকদার ও যমুনা টিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম আহমেদ প্রমুখ।