Logo
Logo
×

যুগান্তর বর্ষপূর্তি

আন্দোলনের গণ-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন কতদূর

Icon

মোহাম্মদ শাহ্ আলম

প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:০৯ এএম

আন্দোলনের গণ-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন কতদূর

প্রতিটি আন্দোলনের পর একধরনের গণ-আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়। যারা আন্দোলনের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হন, তাদের কাছে সাধারণ মানুষের অনেক প্রত্যাশা থাকে। কিন্তু প্রতিবারই দেখা যায়, নতুন সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর আন্দোলনের মাধ্যমে সৃষ্ট গণ-আকাঙ্ক্ষা অবাস্তবায়িত থেকে যায়। এর কারণ হচ্ছে, আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতার পরিবর্তন হলেও রাষ্ট্রের শ্রেণিচরিত্রের কোনো পরিবর্তন হয় না।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পরিবর্তন হলেও রাষ্ট্রের শ্রেণিচরিত্রের পরিবর্তনের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। স্বৈরশাসকের বিদায় ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠার পর প্রায় ছয় মাস অতিবাহিত হতে চলেছে। কিন্তু রাষ্ট্রের শ্রেণিচরিত্রের কোনো পরিবর্তনের আভাস লক্ষ করা যাচ্ছে না।

সম্প্রতি ছাত্র-জনতার যে গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে, তার মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ক্ষমতায় এনেছে মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং একই সঙ্গে নির্বাচনব্যবস্থার সংস্কারের মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, এসব গণ-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লক্ষ করা যাচ্ছে না। এখনো ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আহত ও নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়ন করা সম্ভব হয়নি। আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি। আহতদের সুচিকিৎসা এবং নিহতদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে।

আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছিল, যা এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা বেড়েছে। অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। অতীতের স্বৈরাচারের ফ্যাসিস্ট কণ্ঠ এখনো শোনা যায়, যা আইনের শাসন এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে চলেছে। এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। রাজনৈতিক দলগুলো এখনো সরকারের জন্য কোনো বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে না। কিন্তু তারপরও কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরকারের জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে। এটি কারা করছে, সরকার তা ভালো করেই জানে। এদের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর হতে হবে।

দেশে কায়েমি স্বার্থবাদী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যে জনআকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়, কায়েমি স্বার্থবাদী গোষ্ঠী চেষ্টা করে তা যেন বাস্তবায়িত না হয়। প্রতিটি রাষ্ট্রেরই একটি শ্রেণিচরিত্র থাকে। কোনো রাষ্ট্র শ্রেণিশাসনের ঊর্ধ্বে নয়। সেটি শ্রমিক শ্রেণিই হোক অথবা ধনিক শ্রেণি। রাষ্ট্র যতদিন টিকে থাকবে, কোনো না কোনো শ্রেণি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে শাসনকার্য পরিচালনা করবে। যে শ্রেণি রাষ্ট্র পরিচালনা করে, তারা যদি লুটেরা অথবা আমলানির্ভর হয়, তাহলে তাদের একটি বিশেষ সার্কেল গড়ে ওঠে। জনআকাঙ্ক্ষা সবসময় তৈরি হয় এদের বিরুদ্ধে। কাজেই শাসক ও জনগণের মধ্যে এক ধরনের বিরোধ বা সংঘাতময় পরিস্থিতি সবসময়ই বিরাজমান থাকে। প্রতিনিয়তই এ দুই শ্রেণির মধ্যে সংঘাত চলতে থাকে। রাষ্ট্রের শ্রেণিচরিত্র যদি পরিবর্তিত না হয়, তাহলে জন-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়তি হয় না। আমরা বর্তমানে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেখছি, তারা জন-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে কতটা আগ্রহী, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে জটিল চ্যালেঞ্জ হিসাবে দেখা দিয়েছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি। গত ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী উচ্চ মূল্যস্ফীতির প্রবণতা দেখা দিয়েছিল।

পরবর্তীকালে বিভিন্ন প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার মাধ্যমে অধিকাংশ দেশই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হলেও বাংলাদেশ এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্যস্ফীতি বেড়েই চলেছে। মূল্যস্ফীতির হার অনেক দিন ধরেই ডাবল ডিজিটের উপরে অবস্থান করছে। বিশেষ করে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। দরিদ্র এবং নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ খাদ্য মূল্যস্ফীতির অভিঘাতে চরম বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছে। আশা করা হয়েছিল, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব পালনকালে দ্রুতই মূল্যস্ফীতি কমে আসবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। বরং ক্রমেই মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। সরকার এখনো মুক্তবাজারিদের সিন্ডেকেটের হাত থেকে পণ্যবাজারকে মুক্ত করতে পারেনি।

সরকারের নীতি পরিবর্তন ছাড়া এ সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব নয় বলেই মনে হয়। সরকারের হাতে বিকল্প পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং গ্রামগঞ্জ ও শহরে সর্বজনীন রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা ছাড়া এ অবস্থা থেকে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেওয়া সম্ভব নয়। শুধু সীমিত পরিসরে মার্কেট পরিদর্শন এবং বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে সিন্ডিকেট ভাঙা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষিতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। অভ্যন্তরীণভাবে কৃষি উৎপাদনে বাড়ানোর জন্য যত রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন, তা করতে হবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিভিন্ন পণ্যের ওপর ভ্যাটের হার বাড়িয়েছে। এ সিদ্ধান্ত পণ্যমূল্য আরও বৃদ্ধি করবে এবং জনদুর্ভোগ বাড়াবে। প্রয়োজনে বিভিন্ন নিত্যপণ্যের ওপর ভ্যাট হার কমিয়ে হলেও মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে। একই সঙ্গে গ্রামাঞ্চলের তৃণমূল পর্যায়ের কৃষকের কাছ থেকে সমবায় পদ্ধতির মাধ্যমে সরাসরি পণ্য ক্রয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। এটি করা হলে পণ্য সরবরাহব্যবস্থায় মধ্যস্বত্বভোগীদের দাপট কমবে। কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য পাবেন। ভোক্তা পর্যায়েও পণ্যমূল্য কমে আসবে। পণ্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসাটাকেই এখন সবচেয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। মূল্যস্ফীতির হার এভাবে বাড়তে থাকলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্য অনেক কৃতিত্ব ম্লান হয়ে যেতে পারে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। ফলে আর্থিক খাতে ইতিবাচক পরিবর্তনের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এ সরকারের উদ্যোগে বিগত সরকার আমলের আর্থিক লুটপাটের প্রকৃত অবস্থা জানার জন্য যে শ্বেতপত্র কমিটি গঠন করা হয়েছে, সেই কমিটি স্বল্পতম সময়ের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন পেশ করেছে। এতে আর্থিক দুর্নীতি এবং অর্থ পাচারের ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। এখন সরকারের উচিত হবে, পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো এবং একইসঙ্গে যারা দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। 

নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। এ কমিশন যাতে স্বাধীনভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারে, তা নিশ্চিত করার জন্য প্রচলিত আইনের ব্যাপক সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। কোনো কোনো মহল থেকে প্রশ্ন উত্থাপন করা হচ্ছে, নির্বাচন আগে নাকি সংস্কার আগে? আমি মনে করি, নির্বাচন ও সংস্কার সাংঘর্ষিক নয়। এটি পরস্পরের পরিপূরক। আগে স্বৈরাচারী সরকার বলত, গণতন্ত্র চান, নাকি উন্নয়ন চান? উন্নয়ন ও গণতন্ত্র যেমন সাংঘর্ষিক নয়, তেমনি সংস্কার ও নির্বাচনও সাংঘর্ষিক নয়। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং সংস্কার একই সঙ্গে চলতে পারে। আমরা যদি অকারণে এ ধরনের বিতর্কে জড়িয়ে পড়ি, তাহলে শহিদের আত্মদানের ফলে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রার যে সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে, তা বিঘ্নিত হতে পারে। 

জুলাই-আগস্টের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মূল উপজীব্য ছিল গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা। বিগত সরকারের আমলে দেশে গণতন্ত্রের লেশমাত্র ছিল না। তাই দেশকে আবারও গণতন্ত্রের পথে ধাবিত করা এবং সর্বপ্রকার বৈষম্যের অবসান ঘটানোই ছিল আন্দোলনের মূলমন্ত্র। এখানে ১৯৭২ সালের সংবিধান পরিবর্তন, জাতীয় মূলনীতি বাতিলকরণ, জাতীয় সংগীত পরিবর্তন-এসব কোনো এজেন্ডা ছিল না। এসব বিতর্ক সামনে এনে আন্দোলনের মূল চেতনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশে আবারও রাজনৈতিক বিভাজন দেখা দেবে। আন্দোলনের মাধ্যমে ডান ও বাম ধারার রাজনৈতিক দলের মধ্যে যে বিরল ঐক্য গড়ে উঠেছিল, তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। একই সঙ্গে পতিত স্বৈরাচার ও জঙ্গিবাদ উত্থানের পথ প্রশস্ত হবে।

দেশের অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল হয়ে পড়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণে আসছে না। এটি উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব হবে যত দ্রুত সম্ভব বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা। নির্বাচনি আইন এমনভাবে সংস্কার করতে হবে, যাতে সাধারণ নির্বাচন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে। কিছু সংস্কার কার্যক্রম আছে, যা নির্বাচিত সরকার ছাড়া কার্যকর করা সম্ভব নয়। আর সংস্কারের নামে দীর্ঘদিনের জন্য অনির্বাচিত সরকার দায়িত্বে থাকা ঠিক নয়। নির্বাচনের মাধ্যমে যে রাজনৈতিক দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তারা যেন কোনোভাবেই জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারকে ক্ষুণ্ন করতে না পারে, তার ব্যবস্থা করতে হবে। 

বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতের সাম্প্রদায়িক শক্তি পরস্পরের ভাই। তারা পরস্পরকে সহযোগিতা করে থাকে। সাম্প্রদায়িকতা গণতন্ত্রের শত্রু, মানবতার শত্রু। গণতান্ত্রিক শক্তিকে মানবিক মূল্যবোধে উজ্জীবিত হয়ে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রাম জারি রাখতে হবে। 

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ছিল জনযুদ্ধ। কারও দয়ায় বা দানে আমাদের স্বাধীনতা পাইনি। আমরা স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত ছিলাম বলে কেউ কেউ সহযোগিতা করেছিল। তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। কিন্তু তাই বলে বাংলাদেশ কারও অনুগত হয়ে থাকার জন্য স্বাধীনতা লাভ করেনি। সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন জনগণের চোখ খুলে দিয়েছে। আমাদের সমাজে নানা ধরনের বৈষম্য বিদ্যমান। এর মধ্যে আসলে বৈষম্য হচ্ছে ধনবৈষম্য ও শ্রেণিবৈষম্য।

স্বাধীনতা আন্দোলনের মূলমন্ত্র ছিল ধনবৈষম্য ও শ্রেণিবৈষম্য থেকে মুক্তি লাভ করে সোনার বাংলা গড়ে তোলা। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর অপরিণামদর্শিতার কারণে সেই লক্ষ্য এখনো অর্জিত হয়নি। এবার সেই সুযোগ আমাদের সামনে উপস্থিত। আমরা সঠিকভাবে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারব কিনা, তার ওপর নির্ভর করছে আন্দোলনের সাফল্য এবং গণআকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের বিষয়টি। যদি আগের মতোই গতানুগতিক ধারায় দেশের রাজনীতি পরিচালিত হয়, তাহলে আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য বিঘ্নিত হতে বাধ্য।

সাম্প্রতিক আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্র এবং মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করা। একে কোনোভাবেই পাশ কাটানোর সুযোগ নেই। তাই বাংলাদেশকে সংকটমুক্ত করতে হলে যত দ্রুত সম্ভব জনগণের অংশগ্রহণে একটি অবাধ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা দরকার। 

লেখক : সভাপতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটি

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম