জালেম-বলদর্পীরা এখন লাঞ্ছিত ও পর্যুদস্ত: রেজাউল করিম
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:১৮ পিএম
আগস্ট বিপ্লবে স্বৈরাচারী- ফ্যাসিবাদী শক্তির পতন হলেও জনপ্রশাসনসহ রাষ্ট্রের বিভিন্ন সেক্টরে পতিতদের প্রতিভূরা এখনও সক্রিয় রয়েছে; তাই অর্জিত বিজয়কে স্থায়িত্ব দিতে এবং দেশ ও জাতিস্বত্ত্বাবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
মঙ্গলবার সকাল ৭টায় রাজধানীর পান্থপথের একটি মিলনায়তনে শেরেবাংলা নগর দক্ষিণ থানা জামায়াত আয়োজিত এক রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
থানা আমীর আবু সাঈদ মন্ডলের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য হেমায়েত হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তরের প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার ও মৌলভীবাজার জেলা কর্মপরিষদ সদস্য আমিনুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন থানা কর্মপরিষদ সদস্য সোহেল খান, জামিল বিন হোসাইন ও আবু জাওয়াদ,মাওলানা রুহুল আমিন প্রমূখ।
ড. রেজাউল করিম বলেন, আওয়ামী-বাকশালীরা বিগত প্রায় ১৬ বছরে অপশাসন- দুঃশাসনের মাধ্যমে দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। কেড়ে নেওয়া হয়েছিল জনগণের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার। জামায়াতসহ বিরোধী দলগুলোর ওপর চালানো হয় ইতিহাসের নির্মম ও বর্বর নির্যাতন। রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রেই জামায়াতের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ ছিল। এমনকি ক্ষমতার শেষ পর্যায়ে এসে মাফিয়াতন্ত্রীরা জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। কিন্তু ইতিহাস তাদেরকে ক্ষমা করেনি বরং জনগণ এখন তাদেরকেই পুরোপুরি নিষিদ্ধ করেছে। ছাত্র-জনতার ধাওয়া খেয়ে তারা দেশ থেকে পালিয়ে মামা বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু তাদের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র বন্ধ হয়নি। তিনি পতিত স্বৈরাচারের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা জামায়াতের রুকনসহ সব স্তরের নেতাকর্মীদের যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ৫ আগস্ট বিপ্লবের মাধ্যমে আমাদের দীর্ঘদিন ধরে চলমান আন্দোলনের প্রাথমিক বিজয় হয়েছে। কিন্তু লড়াই এখনও শেষ হয়নি। আমাদের এ পথ অনেক দীর্ঘ কিন্তু প্রশস্ত। তাই অর্জিত বিজয়ে এখনই উল্লেসিত হওয়া বা আত্মতৃপ্তিতে ভোগার কোনো সুযোগ নেই বরং চুড়ান্ত বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের চলমান সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আল্লাহ আমাদেরকে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করার নির্দেশ প্রদান এবং দ্বীনের হক বিজয়ের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছেন। সে আলামত আমরা ইতোমধ্যেই পেয়ে গেছি। কয়েকদিন আগেই যারা জালেম ও বলদর্পী ছিল তারা এখন লাঞ্ছিত ও পর্যুদস্ত। তিনি দ্বীন বিজয়ের লক্ষ্যে সবাইকে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান।