শাহ ওলিউল্লাহ দেহলবি ও ‘ফুক্কা কুল্লা নিজাম’
মওলবি আশরাফ
প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৪, ০৭:৩৯ পিএম
(আজ জগদ্বিখ্যাত মুসলিম দার্শনিক ও আলেম শাহ ওলিউল্লাহ দেহলবি (রহ)-এর ২৬২তম ওফাত বার্ষিকী। নতুন প্রজন্মকে শাহ সাহেবের চিন্তাদর্শনের সঙ্গে পরিচিত করার উদ্দেশ্যে তার এই সংক্ষিপ্ত জীবনী লেখা)
জন্ম ও পরিবার
হিজরি ১১১৪ সালের ১৪ শাওয়াল, খ্রিষ্টীয় ১৭০৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রোজ বুধবার বর্তমান ভারতের উত্তর প্রদেশে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম ওলিউল্লাহ কুতুবুদ্দিন আহমদ শাহ, তবে আরবদের কাছে আহমদ বিন আবদুর রহিম আর বাকি দুনিয়ায় শাহ ওলিউল্লাহ দেহলবি নামে তিনি পরিচিত। শাহ শব্দটি মূলত সুফি পদবি আর দেহলবি অর্থ দিল্লির অধিবাসী।
তার পিতা শাহ আবদুর রহিম ছিলেন অনেক বড় আলেম, তিনি মোগল সম্রাট আওরঙ্গজেব আলমগিরের তত্ত্বাবধানে সংকলিত ইসলামি আইনশাস্ত্রের সর্ববৃহৎ প্রামাণ্য গ্রন্থ ‘ফতোয়ায়ে আলমগিরি’-এর সম্পাদনা ও শুদ্ধিকরণের দায়িত্বে ছিলেন।
তার মাতা সাইয়িদা ফখরুন্নেসা ছিলেন একজন বিদূষী নারী, শরিয়ত ও তরিকতের রহস্যজ্ঞানী এবং আল্লাহওয়ালা। শাহ ওলিউল্লাহ দেহলবি (রহ) ছিলেন হযরত ওমর ফারুক (রা)-এর বংশধর, আর তার মায়ের বংশধারা ইমাম মুসা আল কাজিম (রহ)-এর সাথে গিয়ে মিলে।
শিক্ষা-দীক্ষা
তিনি পাঁচ বছর বয়সে মকতবে যান। সাত বছর বয়সে কোরআন হেফজ করেন। এই বছরই আরবি ও ফারসি ভাষার প্রাথমিক পাঠ সম্পন্ন করে আরবি ব্যাকরণে মনোনিবেশ দেন। দশ বছর বয়সে আরবি ব্যাকরণের জটিল কিতাব শরহে জামি পড়ে শেষ করে ফেলেন। এরপর তিনি কোরআন-হাদিসের উচ্চতর পাঠে মনোযোগী হন।
তার পাঠ্যসূচিতে তফসির, হাদিস ও ফিকহ ছাড়াও উসুলে ফিকহ, ইলমে কালাম, তাসাওউফ ও সুলুক, মানতেক ও দর্শন, চিকিৎসাবিজ্ঞান এবং গণিতের উল্লেখ পাওয়া যায়। তিনি এর অধিকাংশ কিতাব তার পিতার কাছে পড়েন, এবং মাত্র পনেরো বছর বয়সেই পাঠ সমাপন করে ফেলেন। এরপর তার পিতার প্রতিষ্ঠিত মাদরাসায় শিক্ষক হিশেবে যোগ দেন।
খেলাফত লাভ
কেতাবি তালিমের পাশাপাশি তিনি পিতার কাছ থেকে তাসাওউফের সবকও নিতেন। আধ্যাত্মিক সাধনায় তিনি খুব দ্রুত উচ্চতর মাকাম হাসিল করতে সক্ষম হন। ১১৩১ হিজরিতে, তার বয়স যখন সতের, তখন তিনি পিতার কাছ থেকে নকশবন্দিয়া তরিকার উপর খেলাফত লাভ করেন।
বিবাহ ও পিতা-মাতার ইন্তেকাল
তার বয়স যখন মাত্র চৌদ্দ, তার বাবা বিয়ের ব্যবস্থা করেন। এই বিষয়ে তিনি বড্ড তাড়াহুড়া করছিলেন। শাহ সাহেবের শ্বশুরবাড়ির লোকজন যখন আরও কিছুদিন সময় নেওয়ার কথা বলেন, তখন তিনি তাদের লিখে জানান : আমার এই তাড়াহুড়া অকারণে নয়, এর পেছনে রহস্য লুকিয়ে আছে। কয়েক বছরের মধ্যেই এই রহস্য উন্মোচিত হয়।
শাহ সাহেবের বয়স যখন সতের, তখন একে একে তার পিতা, তার সৎমা, এরপর তার মা ইন্তেকাল করেন। তিনি বুঝতে পারেন—অল্পবয়সেই যদি তাকে বিয়ে করানো না হতো, তাহলে এতগুলো মৃত্যুর শোক কাটিয়ে তার জন্য বিয়ে করা সহজ হতো না। এই ঘটনা যেমন তাকে প্রচণ্ডভাবে আঘাত করে, আবার হিন্দুস্তানের মুসলমানের দুর্দশায় মনোবল না হারানোর শক্তি সঞ্চার করে।
হজ ও উচ্চতর শিক্ষা
১১৪৩ হিজরিতে তার মক্কা-মদিনায় যাওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়। তখনকার দিনে হিন্দুস্তান থেকে মক্কা সফর একদমই সহজ ছিল না, তাছাড়া তখন গোটা ভারতজুড়ে হানাহানি ও লুটতরাজ চলছিল। এরপরও তিনি জান ও মাল হারানোর খতরা নিয়ে হজের উদ্দেশে যাত্রা করেন। ১৫ জিলকদ মক্কায় গিয়ে পৌঁছান। হজ আদায় করে তিনি মদিনায় যান। সেখানে গিয়ে শায়খ আবু তাহের মুহাম্মদ ইবনে ইবরাহিম কুর্দির কাছে হাদিস পড়েন।
তিনি তার কাছে হাদিসের প্রসিদ্ধ ছয় কিতাবসহ মুয়াত্তায়ে মালেক, মুসনাদে দারেমি ও ইমাম মুহাম্মদের কিতাবুল আসার পড়েন। এরপর মক্কায় গিয়ে দ্বিতীয়বার হজ করে শায়খ ওয়াফদুল্লাহ মালেকির কাছে আবার মুয়াত্তায়ে মালেক পড়েন। মক্কায় শায়খ তাজুদ্দিন হানাফি কিলাইর সন্ধান পেয়ে তার কাছে বোখারি পড়েন এবং সিহাহ সিত্তার বিভিন্ন জটিল অংশের পাঠ নেন।
এছাড়াও তিনি সেখান থেকে শায়খ আহমদ থানবি, শায়খ আহমদ কাশানি, সাইয়িদ আবদুর রহমান ইদরিসি, শায়খ শামসুদ্দিন মুহাম্মদ, শায়খ ইসা জাজরি, শায়খ হাসান আজমি, শায়খ আহমদ আলি, শায়খ আবদুল্লাহ ইবনে সালেম (রহিমাহুমুল্লাহ) প্রমুখ থেকেও সরাসরি কিংবা পরোক্ষভাবে সনদ হাসিল করেন। তিনি হেজাজে মোট ১৪ মাস অবস্থান করে হিন্দুস্তানের দিকে রওনা দেন।
স্বদেশ ফিরে তিনি হাদিসের প্রসিদ্ধ ছয় কিতাব, মুয়াত্তা মালেক ও অন্যান্য কিতাব পড়ানো শুরু করেন। বর্তমানে পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশে যত আলেম আছে, তারা কোনো না কোনোভাবে শাহ ওলিউল্লাহ দেহলবি (রহ)-এর ছাত্র। সবার হাদিসের সনদ তার পর্যন্ত পৌঁছে।
একটি স্বপ্ন একটি ইশারা
হেজাজে সফরকালে তিনি বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞ লোকদের কাছ থেকে সেখানকার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দুরবস্থা সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। হিন্দুস্তান ও অন্যান্য দেশের এরূপ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে শাহ সাহেব বুঝতে পারলেন প্রচলিত সামন্তবাদী ও রাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা জনগণের জীবনে অমোচনীয় অভিশাপ হয়ে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে আছে।
এই ব্যবস্থার আমূল পরির্বতন না হলে জনজীবনের দুর্দশা ও দুর্ভোগ কিছুতেই ঘুচবে না। সমাজ ও শাসনতন্ত্রের নিপীড়নমূলক মনোভাবের অবসান হবে না। সাধারণ মানুষের জীবনে সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্য ফিরে আসবে না। তাই তিনি এক যুগপৎ আন্দোলনের স্লোগান রচনা করেন।
শাহ সাহেব বলেন, স্বপ্নে দেখতে পেয়েছি যে আমি কাইমুজ্জামান, অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা আমাকে দুনিয়াতে কল্যাণময় ব্যবস্থা কায়েম করার মাধ্যম হিসেবে মনোনয়ন করেছেন।... [এই সময়] তাকিয়ে দেখলাম ইসলামের ‘শাআইর’ [মৌলিক চিহ্ন যেমন: কালেমা, নামাজ, বাইতুল্লাহ, কোরবানি ইত্যাদি] ভূলণ্ঠিত হচ্ছে এবং সবখানে কুফর মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এসব দেখে আমি যারপরনাই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছি।... সাথীরা আমাকে জিজ্ঞাসা করল, এখন আল্লাহর হুকুম কী? আমি বললাম, ফুক্কা কুল্লা নিজাম—ভেঙে দাও বিদ্যমান সকল ব্যবস্থা।
সেসময়ে তার এই আহ্বান মূলত মধ্যযুগীয় আবর্ত ও আবহে খাবি খেতে থাকা রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থার বিরুদ্ধে একটি দৃঢ় ও দূরদর্শী পদক্ষেপ ছিল। তার এই আহ্বান প্রচলিত রাষ্ট্রব্যবস্থার নিপীড়নমূলক রীতিনীতি সম্পর্কে তার গভীর পর্যবেক্ষণের দিকে ইঙ্গিত করে।
এর সূত্র ধরেই উপমহাদেশের ইতিহাসে প্রথম রনেসাঁর সূচনা হয়। ১৮৫৭ সালে সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে মুসলিমদের নেতৃত্বে সর্বপ্রথম যে আন্দোলন সংঘটিত হয়, তা হয়েছিল শাহ সাহেবের বিপ্লবী দর্শনের আলোকেই।
‘ফুক্কা কুল্লা নিজাম’ কী
শাহ ওলিউল্লাহ দেহলবি (রহ)-এর চোখের সামনে মোগল সাম্রাজ্যের পতন ঘটে এবং তার জীবদ্দশাতেই ইংরেজরা বাংলা দখলের মাধ্যমে উপমহাদেশে ঔপনিবেশিক শাসনের সূচনা ঘটায়। তিনি বিভিন্ন উপায়ে ইসলামি শাসন কায়েমের চেষ্টা করেন, কিন্তু বুঝতে পারেন মুসলমানদের অন্তর মরে গেছে।
শূন্য দিয়ে যত বড় সংখ্যাই গুণ করা হোক না কেন, গুণফল যেমন শূন্য থাকবে; ঠিক তেমনই মুসলমানদের ঈমান-আমলে সংস্কার না ঘটিয়ে ক্ষমতার মসনদে যাকেই বসানো হোক—কাজের কাজ কিছুই হবে না। তাই তিনি বিদ্যমান সকল ব্যবস্থাকে ভেঙে নতুন করে সাজানোর প্রস্তাব দেন।
রিফর্মের প্রয়োজনে ডিফর্ম। তিনি নতুন ধারার রাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি ও সমাজনীতির ধারণা দেন, একই সাথে শরিয়তের নির্দেশনাবলিকে দার্শনিক ভিত্তি দিয়ে ‘মাকাসিদুশ শরিয়া’ নিয়ে কাজের সূচনা করেন।
তিনি খেলাফতকে দুই ভাগে বিভক্ত করেন :
১. খেলাফতে বাতেনা (প্রচ্ছন্ন খেলাফত)
২. খেলাফতে জাহেরা (প্রত্যক্ষ খেলাফত)
তার মতে—‘খেলাফতে বাতেনা’ পরিচালিত হয় তালিম (শিক্ষা), তরবিয়ত (চারিত্রিক উন্নয়ন), তাসাওউফ (আধ্যাত্মিকতা), তাবলিগ (ইসলাম প্রচার), ওয়াজ (উপদেশ), মুনাজারা (ইসলামের জন্য বির্তক করা), ইলমুল কালাম চর্চা করা, নামাজ, রোজা, হজ ইত্যাকার আমলগুলির মাধ্যমে। আর খেলাফতে জাহেরা প্রতিষ্ঠিত হয় হুদুদ, কেসাস, জেহাদ, কর ও ট্যাক্স উত্তোলন, এবং রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সুবিধা প্রদান ইত্যাকার আমলের মাধ্যমে।
সোজা কথায়—যে বিধান পালনে শক্তি ও ক্ষমতার প্রয়োগ করতে হয় তা হলো খেলাফতে জাহেরা। আর যে বিধান পালনে শক্তি ও ক্ষমতার প্রয়োগ করতে হয় না, তা হলো খেলাফতে বাতেনা। শাহ সাহেব মনে করেন, প্রথমে খেলাফতে বাতেনা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে, আর খেলাফতে বাতেনাই খেলাফতে জাহেরা বাস্তবায়নের ক্ষেত্র তৈরি করে। তাই সবার আগে আমাদের জনে জনে দাওয়াত দিয়ে ‘ইনকিলাবে ফর্দ’ (ব্যক্তির পরিবর্তন) ঘটাতে হবে। তাহলে এর ভিত্তিতে যে ‘ইনকিলাবে নিজাম’ (রাষ্ট্রব্যবস্থার পরিবর্তন) সংঘটিত হবে, তা টেকসই হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
তার এই চিন্তাদর্শনের ভিত্তিতেই দারুল উলুম দেওবন্দ মাদরাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমান বাংলাদেশে যত কওমি মাদরাসা আছে, সবই তার শাখা।
চিন্তাধারা
শাহ ওলিউল্লাহ দেহলবি (রহ) ছিলেন মধ্যমপন্থার অনুসারী। তিনি দীনের মধ্যে বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়ির প্রতিবাদ করেন। তিনি ফিকহের নামে যেমন হাদিস এড়িয়ে যাননি, আবার হাদিসের অনুসরণ করতে গিয়ে ফিকহ বাদ দেননি। একদিকে সুফিদের কঠোর সমালোচনা করেছেন, আরেকদিকে নিজেও ছিলেন সুফি।
তিনি ওলামায়ে কেরামকে একটি ভারসাম্যপূর্ণ সমাজ গঠনের দিকে আহ্বান করেন, হানাফি-শাফেয়ি দ্বন্দ্বের অবসান ঘটাতে বলেন। মুসলমানদেরকে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে মাতামাতি না করে আমাদের প্রধান শত্রু—ভোগবাদ ও অমুসলিমদের কালচারাল হেজিমনির বিরুদ্ধে জেহাদ করতে বলেন।
গুরুত্বপূর্ণ রচনাবলি
শাহ ওলিউল্লাহ দেহলবি (রহ) শতাধিক গ্রন্থ রচনা করেন। তার মধ্যে প্রায় পঞ্চাশটি গ্রন্থের খোঁজ পাওয়া যায়। তার যুগে ফারসি ছিল সাধারণ শিক্ষিতদের ভাষা আর আরবি ছিল এলেমচর্চার ভাষা। এ কারণে তিনি দুই ভাষাতেই লিখেছেন।
তার উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গ্রন্থ এই :
•ফাতহুর রহমান
•হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগা
•আল ফাওজুল কাবির
•ইজালাতুল খফা আন খিলাফাতিল খুলাফা
•ফুয়ুজুল হারামাইন
•আল বুদুরুল বাজিগা
•আল ইনসাফ ফি বায়ানি সবাবিল ইখতিলাফ
•ইকদুল জিদ
•আত তাফহিমাতুল ইলাহিইয়া
•তাবিলুল আহাদিস
•মুসাফফা ও মুসাওওয়া
•আল আকিদাতুল হাসানা
•আল আরবাইন
সন্তানাদি
শাহ ওলিউল্লাহ দেহলবি (রহ)-এর ছিল পাঁচ ছেলে ও এক মেয়ে। প্রথম ছেলে শায়খ মুহাম্মদ কৈশোরেই ইন্তিকাল করেন। আর বাকি চার ছেলে—শাহ আবদুল আজিজ মুহাদ্দিসে দেহলবি, শাহ রফিউদ্দিন, শাহ আবদুল কাদির ও শাহ আবদুল গনি (যিনি শাহ ইসমাইল শহিদের পিতা)—তারা সবাই প্রতিষ্ঠিত বড় আলেম ছিলেন এবং পিতার ইন্তেকালের পর তার চিন্তাদর্শন প্রচার-প্রসারে বড়ধরনের ভূমিকা রাখেন।
ইন্তেকাল
হিজরি ১১৭৬ সালের ২৯ মোহররম, মোতাবেক ১৭৬২ সালের ২০ আগস্ট রোজ শুক্রবার তিনি দুনিয়া ত্যাগ করে পরম মাওলার সান্নিধ্যে রওনা দেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন)
পুরানা দিল্লির বিখ্যাত কবরস্তান ‘মিন হাদিসান’-এ তার পিতার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়। আল্লাহ তাকে সর্বোচ্চ পুরস্কারে সম্মানিত করুন। আমিন।