
প্রিন্ট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৬ এএম
ইহরাম অবস্থায় মাস্ক ব্যবহারের হুকুম কী

ইসলাম ও জীবন ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:৪৬ পিএম

আরও পড়ুন
প্রশ্ন: ইহরাম অবস্থায় মাস্ক ব্যবহারের হুকুম কী? আমি একবার ইহরাম অবস্থায় কোনো ওজর ছাড়াই তিন-চার ঘণ্টা মাস্ক পরা অবস্থায় ছিলাম। তখন আমার এক সাথি বললেন, ইহরাম অবস্থায় মাস্ক পরা যায় না। তখন আমি খুলে ফেলি। তাই আমি এ বিষয়ে শরীয়তের হুকুম জানতে চাচ্ছি। এখন আমার ওপর কোনো কাফ্ফারা আসবে কি?
উত্তর: প্রশ্নোক্ত কারণে আপনাকে জরিমানাস্বরূপ একটি সদকাতুল ফিতর পরিমাণ বা তার মূল্য গরিব কাউকে দান করতে হবে। কেননা ইহরাম অবস্থায় চেহারা ঢেকে রাখা নিষিদ্ধ।
কেউ যদি ইহরাম অবস্থায় চেহারার এক চতুর্থাংশ বা তার বেশি বারো ঘণ্টা বা এর বেশি সময় ঢেকে রাখে, তাহলে দম ওয়াজিব হয়। আর বারো ঘণ্টার কম সময় (এক ঘণ্টার বেশি) ঢেকে রাখলে একটি সদকাতুল ফিতর পরিমাণ দান করা ওয়াজিব হয়। আর এ সদকা যেকোনো জায়গায় আদায় করা যাবে। তবে হেরেম এলাকার দরিদ্রদের দেওয়া উত্তম।
ইহরাম অবস্থাতেও নারীদের চেহারার পর্দা করার বিধান আছে- এসময়ে চেহারায় কাপড় লাগানো নিষেধ। কিন্তু ঢাকা নিষেধ নয়।
হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বার্ণিত আছে, তিনি বলেন- ইহরাম অবস্থায় আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে ছিলাম। লোকেরা যখন আমাদের পাশ দিয়ে যেত তখন আমরা আমাদের চাদর মাথায় সামনে ঝুলিয়ে দিতাম। আর চলে যাওয়ার পর তা সরিয়ে ফেলতাম। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস ১৮৩৩)
এ হাদিস থেকেই ইহরাম অবস্থায় চেহারা ঢাকার হুকুম ও গুরুত্ব বুঝা যায়।
মনে রাখা দরকার যে, হজ-ওমরার কাজগুলো সাধারণত পুরুষ-নারী সম্মিলিতভাবেই আদায় করা হয়। তাই এক্ষেত্রে নারীদের দায়িত্ব যথাসম্ভব পর্দায় থাকা এবং পুরুষদের দায়িত্ব নিজ নিজ চোখের হেফাজত করা।
সুতরাং ক্যাপ বা হ্যাট জাতীয় কিছু মাথায় লাগিয়ে চেহারা ঢেকে নেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। অবশ্য রাস্তায় চলাচলের সময় অথবা বেশি ভিড়ের মধ্যে প্রয়োজনে চেহারা খোলারও অবকাশ আছে।
আর কারো জন্য যদি কোনো কারণে ক্যাপ ব্যবহার করা কষ্টকর হয়ে যায় তাহলে তার জন্য ছাড় গ্রহণের অবকাশ থাকবে ইনশাআল্লাহ। অবশ্য সতর্কতামূলক এজন্য ইস্তিগফার করতে থাকবে।
সূত্র: আলমুহীতুল বুরহানী ৩/৪৩০; আলবাহরুর রায়েক ৩/৮; গুনইয়াতুন নাসিক, পৃ. ২৫৪, ২৫১, ২৪০; রদ্দুল মুহতার ২/৫৪৭