
প্রিন্ট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৬ এএম
মাগরিবের আজানের সময় যে দোয়া পড়তে হয়

ইসলাম ও জীবন ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:০৭ পিএম

আরও পড়ুন
দোয়া মুমিনের হাতিয়ার। অসম্ভবকে সম্ভব করার মাধ্যম। মহান রবের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কের সেতুবন্ধন।
মানবজীবনে দোয়ার গুরুত্ব অনেক। তাই দোয়া না করলে বা উদাসিন থাকলে আল্লাহ তায়ালা অসন্তুষ্ট হন। এক হাদীসে নবীজি বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে দোয়া করে না আল্লাহ তার ওপর রাগ হন। (সুনানে তিরমিজি: ৩৩৭৩)।
আমাদের জীবনের বিভিন্ন সময়ে অনেক দোয়ার কথা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। যেগুলো পাঠ করলে অশেষ সওয়াব পাওয়া যায়।
হজরত সাহল ইবনে সাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘দুই (সময়ের) দোয়া ফিরিয়ে দেয়া হয় না; অথবা কমই ফিরিয়ে দেয়া হয়। (এক) আজানের সময়ের দোয়া এবং (দুই) প্রচণ্ড যুদ্ধ চলাকালীন সময়ের দোয়া; যখন একে অপরকে নিধন করতে থাকে।’ (আবু দাউদ, দারেমি, মিশকাত)
হজরত উম্মে সালামাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে এ কথাগুলো মাগরিবের আজানের সময় শিখিয়েছেন-
اَللّٰهُمَّ هَذَا اِقْبَالُ لَيْلِكَ وَاِدْبَارُ نَهَارِكَ وَاَصْوَاتُ دُعَاتِكَ فَاغْفِرْ لِيْ
উচ্চারণ: আল্লাাহুম্মা হাযা ইক্ববা লু লাইলিকা ওয়া ইদবা রু নাহাা রিকা ওয়াস ওয়া তু দু‘আ তিকা ফা ফিরলী।
অর্থ: ‘হে আল্লাহ! এটা তোমার রাতের আগমন; দিনের প্রস্থান এবং তোমার আহ্বানকারীদের (মুয়াজ্জিনের) ডাকার সময়। সুতরাং তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও।’ (আবু দাউদ, বাইহাকি, মিশকাত)
হাদিসে উল্লেখিত দোয়াটি মাগরিবের সময়ের জন্য নির্ধারিত। বিশেষ করে এ দোয়াটি মাগরিবের আজানের আগে অথবা পরে পড়া যাবে। আবার আজানের জবাব দেওয়ার সময় কিংবা আজানের পর দোয়া মুনাজাতের সময়ও পড়া যাবে।