রাসুল (সা.) কেমন খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২৫, ০৪:২২ পিএম

ফাইল ছবি
বছরের অন্য সময়গুলো খেজুরের চাহিদা থাকলেও পবিত্র রমজান এলে কদর বেড়ে যায় সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফলটির। কারণ, রাসুল (সা.) খেজুর দিয়ে ইফতার করতে পছন্দ করতেন।
রাসুল (সা.) এর জীবনের প্রতিটি কাজই মুসলমানদের জীবেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি যেসব কাজ করতেন-যা আহার বা পানীয় রূপে গ্রহণ করতেন তাই আল্লাহ তায়ালা সুন্নাত করে দিয়েছেন। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, যে রাসুল (সা.)-এর আদর্শকে জীবনে বাস্তবায়িত করতে পারবে সেই হবে দুনিয়া ও আখিরাতে সফলকাম।
নিয়মিত খাবারই মহানবী (সা.) সেহরি ও ইফতারে খেতেন। তবে খেজুর দিয়ে সেহরি ও ইফতার করা তিনি পছন্দ করতেন।
হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) তরতাজা খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। না পেলে শুকনা খেজুর দ্বারা ইফতার করতেন। তাও না পেলে তিনি এক অঞ্জলী পানি দ্বারা ইফতার করতেন। (আবু দাউদ, হাদিস: ২৩৫৮; তিরমিজি, হাদিস: ৬৯৬)
খেজুর ইসলামী খাদ্য-সংস্কৃতির অংশ হওয়ার পাশাপাশি এর আছে স্বাস্থ্য উপকারিতা। খেজুর খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি খুবই পুষ্টিকর। খেজুরকে প্রাকৃতিক শক্তির উৎস বলা হয়। ভিটামিন, আঁশ, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও জিংকসমৃদ্ধ খেজুর একজন সুস্থ মানুষের শরীরে আয়রনের চাহিদা পূরণ করে। রোজার সময় ইফতারে খেজুর রাখা ভালো। এসব গুণের কারণেই হাদিসে খেজুরকে বলা হয়েছে পবিত্র খাবার।
সালমান বিন আমির (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের কেউ ইফতার করলে সে যেন খেজুর দিয়ে ইফতার করে। সে খেজুর না পেলে যেন পানি দিয়ে ইফতার করে। কারণ তা পবিত্র। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৬৯৯)
খেজুরে থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। এই আয়রন শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। শরীরে রক্তাল্পতা দেখা দিলে বা হিমোগ্লোবিনের কমতি হলে খেজুর খাওয়া শুরু করুন। এর ফলে শরীরে আয়রনের মাত্রা বজায় থাকবে। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিক হবে এবং রক্তের কোষ উৎপন্ন হবে।
খেজুরে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক। যেমন—বি১, বি২, বি৩ ও বি৫। এ ছাড়া ভিটামিন এ১, সিসহ নানা ভিটামিনের পাওয়ার হাউস বলা যেতে পারে খেজুরকে।
নিয়মিত খেজুর খাওয়ার মাধ্যমে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানো যায়। খেজুরের নানা উপাদান শরীরে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ প্রতিহত করতে পারে। খেজুর হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করে। ক্যালসিয়াম হাড় গঠনে সহায়তা করে। আর খেজুরে আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, যা হাড়কে মজবুত করে। সেই সঙ্গে মাড়ির স্বাস্থ্যও সুরক্ষিত রাখে।