নামের আগে ‘আল্লামা’ ব্যবহার নিয়ে যা বললেন জাফরী
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪১ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দেখা যায়, ওইসব দেশের বা অঞ্চলের বরেণ্য ধর্মীয় নেতা কিংবা ব্যক্তিত্বের নামের আগে-পরে নানা ধরনের উপাধি লেখা হয়। বিশেষ করে ইসলামি স্কলারদের নামের আগে প্রায়ই এসব উপাধি দেখা যায়। ব্যবহৃত এসব উপাধিগুলোর অর্থ কেউ বোঝেন, আবার অনেকেই আছেন যারা এসবের অর্থ বোঝেন না; জানেন না।
নামের আগে-পরে ব্যবহৃত ওইসব শব্দের মধ্যে রয়েছে- মাওলানা, মুহাদ্দিস, মুফাসসির, মুফতি, মুফাসসিরে কুরআন এবং আল্লামা। আবার মাঝে মাঝে নামের শেষে দেখা যায়- দামাত বারাকাতুহুম, হাফিজাহুল্লাহ ইত্যাদি।
তবে এসব উপাধিগুলোর মধ্যে আমাদের দেশে নামের আগে আল্লামা উপাধিটা নিয়ে বেশ আলোচনা রয়েছে। কিছু জায়গায় এই উপাধির ব্যবহার নিয়ে বিতর্কও হতে দেখা গেছে।
সম্প্রতি দৈনিক যুগান্তরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বহুল চর্চিত আল্লামা উপাধির ব্যবহার নিয়ে কথা বলেছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান, নরসিংদী জামেয়া কাসেমিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও মহাপরিচালক সাইয়্যেদ কামাল উদ্দিন আবদুল্লাহ জাফরী।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, যিনি বেশি জানেন তাকে বলা হয় আল্লামা। অর্থাৎ ইসলামি চিন্তা, আইন ও দর্শনের ক্ষেত্রে উচু পর্যায়ের যার পণ্ডিত্য রয়েছে তাকে আল্লামা বলে। আল্লামা শব্দটি বিশেষ কোনো বিষয়ের সম্পর্কীয় ব্যাপার। সেটা ইসলাম সম্পর্কে বা অন্য কোনো ব্যাপারে হতে পারে। আমরা বেশি জানি সেটা বলবো না। কিন্তু লোকেরা মনে করে আমরা কিছু জানি। ইসলাম সম্পর্কে এই জ্ঞান চর্চা করি, জ্ঞানমূলক প্রোগ্রামগুলো করি। এর মাধ্যমে মানুষ ইসলাম সম্পর্কে জানতে পারে। ইসলাম নিয়ে তারা তাদের প্রশ্নগুলো জানতে পারে। এসব কারণে মানুষ শ্রদ্ধা থেকে অনেক সময় আল্লামা বলে থাকেন।