Logo
Logo
×

ইসলাম ও জীবন

নামাজে দৃষ্টি কোথায় থাকবে?

Icon

ইসলাম ও জীবন ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৪৬ পিএম

নামাজে দৃষ্টি কোথায় থাকবে?

প্রশ্ন: নামাজের সময় চোখ তথা দৃষ্টি কোথায় রাখবো? অনেকে বলেন নামাজে পুরোটাই সেজদার দিকে চোখ (নজর) রাখতে হয়। শুধু তাশাহুদ এর সময় ডান হাতের আঙুল এর দিকে তাকাতে হয়। 

কিন্তু হানাফি মাযহাব এবং আরো অনেকেই মানেন যে, নামাজে দাঁড়ানো অবস্থায় চোখ সেজদার দিকে, রুকু অবস্থায় দুই পায়ের মাঝে, সিজদা অবস্থায় নাকের দিকে, বৈঠকে যেখানে বসে থাকা হয় তার একটু সামনের জমিনের দিকে রাখতে হয়। কোনটি সহিহ?

উত্তর: মূল বিষয় হল, নামাজে এদিক-সেদিক না তাকানো। কেননা এটি নামাজে মনোযোগ ও একাগ্রতা রক্ষা করার জন্য অত্যন্ত শক্তিশালী হাতিয়ার । 

হাদিস শরিফে এসেছে, আয়েশা (রা.) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) জিজ্ঞাসা করেছি যে, নামাজে এদিক সেদিক তাকানোর ব্যাপারে আপনি কী বলেন? 

জবাবে তিনি বলেছেন, এটা হলো শয়তানের ছোঁ মারা, যা দ্বারা শয়তান আল্লাহর বান্দাদেরকে নামাজ থেকে গাফেল ও উদাসীন করে ফেলে। (সহিহ বোখারি ৭১৮)

প্রশ্ন হল, নামাজে এদিক-সেদিক না তাকানোর পদ্ধতি কী হবে–এ বিষয়ে  মুজতাহিদ ইমামরা একাধিক রায় পেশ করেছেন।

ইমাম আবু হানিফা (রহ.) বলেছেন, নামাজের সময় দাঁড়ানো অবস্থায় দৃষ্টি সিজদার দিকে থাকবে, রুকু অবস্থায় থাকবে দু’পায়ের মাঝখানে, বসা অবস্থায় থাকবে কোলের দিকে, সিজদা অবস্থায় থাকবে নাকের দিকে। (কিতাবুল মাবসূত ১/২৮) 

কেননা, দৃষ্টি প্রসারিত করলে মন এদিক-সেদিক চলে যাবে। সংকুচিত করলে নামাজে মনোযোগটা আরও ভাল থাকবে। এজন্য প্রসারিত করার চেয়ে সংকুচিত করা উত্তম।

পক্ষান্তরে কোনো কোনো ইমাম বলেছেন, পুরা নামাজের সময় দৃষ্টি থাকবে সিজদার দিকে। তবে এমর্মে তারা দলিল হিসাবে যে হাদিসগুলো পেশ করে থাকেন, সেগুলোকে মুহাদ্দিসগণ ‘দুর্বল’ বলে অভিহিত করেছেন। 

যেমন, ইমাম নববী রহ. বলেন, এ বিষয়ে (নামাজের সময় দৃষ্টি থাকবে সিজদার দিকে) ইবন আব্বাস (রা.) কর্তৃক বর্ণিত হাদিস গারীব (বিরল), যা আমার কাছে অপরিচিত। ইমাম বাইহাকী রহ. আনাস (রা.) ও অন্যদের সূত্রে এ বিষয়ে আরো কছু হাদিস বর্ণনা করেছেন। এর সবগুলোই দুর্বল। (আলমাজমূ ৩/৩১৪)

লক্ষণীয় বিষয় হল, হানাফী-মাযহাবে এটাকে মুসতাহাব বলা হয়েছে। ফরজ-ওয়াজিব বলা হয় নি। সুতরাং এ নিয়ে মাতামাতির কিছু নেই।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম