অবাধ্য সন্তানকে ত্যাজ্য করা কি জায়েজ?
ইসলাম ও জীবন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৮ পিএম
প্রশ্ন: সন্তান ত্যাজ্য করার বিষয়ে ইসলামি শরীয়তের নিয়ম নির্দেশনা বিস্তারিত জানতে চাচ্ছি, এটার নিয়ম, একবার করলে সেটা আবার বাতিল করা যায় কিনা? এটা কি লিখিত হওয়া জরুরি না মৌখিক হয়। এ বিষয়ের খুঁটিনাটি বিস্তারিত জানতে চাই।
উত্তর: পিতা তার কোনো সন্তানকে ত্যাজ্য করা বা মৃত্যুর সময় অসিয়তের মাধ্যমে উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হারাম এবং কবিরা গুনাহ। শরিয়তের দৃষ্টিতে এটি গ্রহণযোগ্য নয়।
কাজেই যাকে ত্যাজ্য ঘোষণা করা হয় কিংবা যাকে তার উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করার অসিয়ত করা হয়, সে কোনোভাবেই তার উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত হবে না।
হাদিস শরিফে এসেছে, আনাস (রা.) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি ওয়ারিসকে মিরাস থেকে বঞ্চিত করবে, আল্লাহ তাকে জান্নাতের মিরাস থেকে বঞ্চিত করবেন।’ (ইবনে মাজাহ ২৭০৩)
তবে যদি বাবা তার জীবদ্দশায় এবং সুস্থ থাকা অবস্থায় যে কাউকে তার সমুদয় সম্পত্তি লিখে দেয় তাহলে মৃত্যুর পর যাকে সম্পদ লিখে দেয়া হয়েছে, সে ছাড়া আর কেউ ওই সম্পদের হকদার হবে না। বাকি অন্যদেরকে ঠকানোর উদ্দেশ্য সমুদয় সম্পদ লিখে দিলে কাজটি প্রয়োগ হয়ে গেলেও বাবা গোনাহগার হবে।
তাফসীরে বায়যাবী (১/৭)-তে এসেছে, বস্তুর মালিক বস্তুতে যেভাবে ইচ্ছে হস্তক্ষেপ করেতে পারে।
উল্লেখ্য, বাবা-মায়ের অবাধ্যতা অনেক বড় গুনাহ। তবে সন্তান অবাধ্য হলে ত্যাজ্য করা ইসলামের সমাধান নয়। বরং বাবা-মায়ের উচিত, ছোট থেকে সন্তানকে ইসলামি অনুশাসনে গড়ে তোলা, ভালোবাসা ও শাসনের মাধ্যমে সন্তানের সংশোধনের চেষ্টা করা, তাকে কুরআন-হাদিসে বর্ণিত অবাধ্যতার পরিণাম সম্পর্কে সতর্ক করা এবং আল্লাহর কাছে সন্তানের সংশোধন কামনা করে দোয়া করা।