
প্রিন্ট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৩৭ পিএম
কবরে নামফলক স্থাপন করা যাবে?

ইসলাম ও জীবন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৫ পিএম

আরও পড়ুন
প্রশ্ন: বর্তমান কবরস্থানগুলোতে প্রায়ই দেখা যায় যে, কবরের উপর মৃত ব্যক্তির নাম-ঠিকানা সম্বলিত একটি ফলক লাগিয়ে দেওয়া হয়। কিছুদিন আগে আমার চাচা ইন্তেকাল করেছেন। আত্মীয়স্বজন চাচ্ছেন যে, তার কবরেও নাম ইত্যাদি লিখে দেওয়া হোক, যাতে জিয়ারত করার সময় কবর চিনতে সুবিধা হয়।
তাই জানতে চাচ্ছি যে, কবরের উপর মৃত ব্যক্তির নাম-ঠিকানা সম্বলিত কোনো ফলক ইত্যাদি স্থাপন করা কি জায়েজ আছে?
উত্তর: কবর চেনার জন্য নাম-ঠিকানা সম্বলিত ফলক লাগিয়ে বা অন্য কোনো উপায়ে চিহ্ন দেওয়ার অবকাশ রয়েছে। শুধু কবর শনাক্ত করে রাখার প্রয়োজনে এমনটি করা নিষেধ নয়।
সুনানে আবু দাউদে বর্ণিত হয়েছে- অর্থাৎ উসমান ইবনে মাযউন (রা.) ইন্তেকালের পর তার দাফন শেষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একজনকে একটি পাথর নিয়ে আসার আদেশ দেন। কিন্তু সেই সাহাবী তা বহন করে আনতে সক্ষম হননি।
তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাথরটি নিজ হাতেই বহন করে উসমান ইবনে মাযউন রা.-এর মাথার কাছে এনে রাখেন এবং বলেন, এর দ্বারা আমার (দুধ) ভাইয়ের কবর চিহ্নিত করে রাখলাম এবং পরবর্তীতে আমার পরিবারের কেউ মারা গেলে এর কাছাকাছি দাফন করব। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৩২০৬; আততালখীসুল হাবীর, ইবনে হাজার, ২/২৬৭)
তবে প্রয়োজন পরিমাণের চেয়ে অতিরিক্ত বা নাম-ঠিকানা ব্যতীত অন্য কিছু, যেমন কুরআনের আয়াত বা বড় বড় কবিতা কিংবা প্রশংসা-স্তুতিমূলক বাক্য ইত্যাদি লিখে রাখা নিষেধ।
হাদিস শরীফে এসেছে, জাবের (রা.) বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবর পাকা করা, তার উপর লেখা, কবরের উপর ঘর নির্মাণ করা এবং তা পদদলিত করা থেকে নিষেধ করেছেন। (জামে তিরমিযী, হাদিস ১০৫২)
সূত্র: তাবয়ীনুল হাকায়েক ১/৫৮৮; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২২৬; হালবাতুল মুজাল্লী ২/৬২৬; হাশিয়াতুত তাহতাবী আলাল মারাকী পৃ. ৩৩৬; মিরকাতুল মাফাতীহ ৪/১৬৬