মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেয়া ফরজে কিফায়া। কেউ কেউ ওয়াজিবও বলেছেন। যারা গোসল দিতে পারদর্শী তারাই মৃত ব্যক্তিকে গোসল দিতে হবে।
মৃত ব্যক্তিকে সঠিকভাবে গোসল দেয়ার পদ্ধতি তুলে ধরা হলো-
১. মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেওয়ার সময় গোসলের খাটে শোয়াতে হয়। তারপর পরনের কাপড় সরিয়ে পুরুষ হলে নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত একটা কাপড় রাখতে হয়।
২. প্রায় বসার মত করে মৃত ব্যক্তির মাথাকে উঁচু করে আলতোভাবে মৃত ব্যক্তির পেটকে চাপ দিয়ে বেশি করে পানি ঢেলে ময়লা বের করা।
৩. গোসলদাতার হাতে একটি নেকড়া পেঁচিয়ে বা হাত মোজা পরিধান করে নেওয়া।
৪. অতপর গোসলের নিয়ত করে প্রথমে নামাজের অজুর ন্যায় মৃত ব্যক্তিকে অজু করানো। তবে মুখে ও নাকে পানি প্রবেশ করানো যাবে না। বরং ভিজা আঙ্গুলদ্বয় নাকে ও মুখে প্রবেশ করানো।
৫. গোসল ফরজ অবস্থায় এবং ঋতুস্রাব ও সন্তান প্রসব করার পর মারা গেলে মুখ ও নাকে পানি পৌছানো জরুরি।
৬. তুলা দিয়ে দাঁতের মাড়ি পরিষ্কার করে দেওয়া।
৭. অতপর কুল (বড়ই) পাতা ও সাবান মিশ্রিত হালকা গরম পানি দ্বারা প্রথমে মৃত ব্যক্তির মাথা ও দাড়ি ধৌত করা।
৮. তারপর ঘাড় থেকে পা পর্যন্ত ডান পার্শ্ব ধৌত করে বাম পার্শ্বের উপর রেখে পিঠের ডান অংশ ধৌত করা।
৯. অনুরুপভাবে ডান পাশের নেয় বাম পাশও ধৌত করা।
১০. এভাবে তিনবার ধৌত করা। তারপরও যদি ময়লা থাকে তবে ময়লা পরিষ্কার হওয়া পর্যন্ত বেজোড় করে ধৌত করা।
১১. গোসলের শেষ বারের পানির সঙ্গে কার্ফুর, আতর মিশিয়ে সমগ্র শরীরে পানি ঢেলে দেওয়া।
১২. মৃত ব্যক্তির মোচ বা নখ বেশি লম্বা হয় তবে কেটে ফেলা। (তবে এ ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে)
১৩. একটি পরিষ্কার কাপড় দ্বারা মৃত ব্যক্তির শরীরের পানি মুছে দেওয়া।
১৪. মৃত ব্যক্তি মহিলা হলে চুলকে তিনটি বেণী করে পিছনের দিকে রাখা।
১৫. মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেওয়ার পর দেহ থেকে ময়লা বের হলে, বের হওয়ার স্থান ধৌত করে তুলা দ্বারা বন্ধ করে দেওয়া। এক্ষেত্রে কেউ বলেছেন, অজু ও গোসল পুনরায় করানো লাগবে না। আবার কেউ কেউ বলেছেন, অজু করাতে হবে। তবে অজু করানোই উত্তম।
এগুলো হচ্ছে মৃত ব্যক্তিকে গোসল করানোর উত্তম পদ্ধতি। যারা মৃত ব্যক্তিকে গোসল করাবে আল্লাহ তাআলা তাদেরকে উত্তম পদ্ধতিতে মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন