প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য আজান দেওয়া হয়। আজানের মাধ্যমে মুসলমানেরা নামাজের সময় সম্পর্কে জানতে পারেন। আজান মুসলিম সমাজের অন্যতম পরিচয় বহনকারী একটি বিষয়ও বটে। নামাজের জন্য আজান দেওয়া সুন্নতে মুয়াক্কাদা।
এ ছাড়া সফরে বের হলে, মসজিদ নেই এমন কোনো জায়গায় নামাজ পড়লেও আজান দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
৫ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের জন্য আজান দেওয়া সুন্নাতে মুআক্কাদা কেফায়া। অর্থাৎ কোনো মহল্লার মসজিদে আজান না হলে বা কেউ আজান না দিলে সুন্নত ছেড়ে দেওয়ার জন্য সবাই গুনাহগার হবে। মসজিদ ছাড়া বাড়িতে বা অন্য কোথাও একাকী বা জামাতে নামাজ পড়লে আজান দেওয়া মুস্তাহাব।
আজানের পর হাত তুলে দোয়া করা প্রমাণিত নয়। তাই হাত তুলে দোয়া না করাই উচিত।
তবে যেহেতু দোয়ার সময় হাত তোলা আদব। সে হিসেবে অনেকে আজানের দোয়ার সময় হাত তুলে দোয়া করে থাকেন।
তবে যদি এটাকে জরুরি মনে করা হয়, তাহলে বিদআত হবে। কিংবা এটিকে আজানের দোয়ার সুন্নত মনে করে তবুও বিদআত হবে।
আর আজানের জবাবে আজানের বাক্যগুলোই বলতে হয়। তবে হাইয়্যা আলাস সালাহ ও হাইয়্যা আলাল ফালাহ বলার জবাবে লা-হাউলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লাবিল্লাহিল আলিয়্যিল আজীম এবং ‘আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম’ এর জবাবে ‘সাদাকতা ওয়াবারারতা’ বলবে।
আজানের পর আজানের দোয়া পড়তে হবে। হাদিসে দোয়ার কথা এসেছে। (সুনানে সাগীর লিলবায়হাকী, হাদিস নং-২৯৬, বুখারি, হাদিস নং-৬২৪)
আজানের পরের দোয়ার আরবি পাঠ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِحَقِّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ، وَالصَّلَاةِ الْقَائِمَةِ، آتِ مُحَمَّدًا الْوَسِيلَةَ وَالْفَضِيلَةَ، وَابْعَثْهُ الْمَقَامَ الْمَحْمُودَ الَّذِي وَعَدْتَهُ، إِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيعَادَ،
আজানের শব্দাবলী
اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ ، حَيَّ عَلَى الصَّلَاةِ ، حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ، حَيَّ عَلَى الْفَلَاحِ، اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ.