ইসলামে আশুরার রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব ও ফজিলত। রাসূল (সা.) বলেছেন, যদি রমজানের পর আর কোনো মাসে রোজা রাখতে চাও তবে মহররমে রোজা রাখ। কেননা সেটি আল্লাহর মাস।
এ মাসে এমন একটি দিন রয়েছে, যেদিন আল্লাহতায়ালা অনেকের তাওবা কবুল করেন। ভবিষ্যতেও আরও অনেক মানুষের তাওবা কবুল করবেন।’ (তিরমিজি, মুসনাদে আহমদ)।
আশুরা দিবসের গুরুত্ব আলোচনা করতে গিয়ে অনেকে বলে থাকেন যে, ‘হাদিস শরীফে এসেছে, এই দিনে কিয়ামত সংগঠিত হবে।’
এই কথা ঠিক নয়। যে বর্ণনায় আশুরার দিন কিয়ামত হওয়ার কথা এসেছে তা হাদিস বিশারদদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভিত্তিহীন, জাল।
আল্লামা আবুল ফরজ ইবনুল জাওযী ওই বর্ণনা সম্পর্কে মন্তব্য করেন যে, ‘এটা নিঃসন্দেহে মওযূ বর্ণনা ...।’
হাফেয সুয়ূতী রহ. ও আল্লামা ইবনুল আররাক রহ.ও তার ওই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হয়েছেন।
(কিতাবুল মওযূআত ২/২০২; আল লাআলিল মাসনূআ ২/১০৯; তানযীহুশ শরীআতিল মরফূআ ২/১৪৯)
তবে জুমআর দিন কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার কথা সহিহ হাদীসে এসেছে। দেখুন-তিরমিযী ২/৩৬২; আবু দাউদ ১/৬৩৪; সুনানে নাসায়ী ৩/১১৩-১১৪
আশুরার দিনে কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে মর্মে কিছু কথা প্রচলিত আছে। এ দিন কিয়ামত সংঘটিত হোক আর না হোক, কিয়ামত আসার আগেই মুমিন ব্যক্তির উচিত পরকালের প্রস্তুতি গ্রহণ করা।
কারবালার হৃদয়বিদারক ঘটনার উৎস কী ছিল