Logo
Logo
×

ইসলাম ও জীবন

অন্ধকার বা আলো বন্ধ করে নামাজ পড়া যাবে?

Icon

ইসলাম ও জীবন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২৪, ০৩:১৭ পিএম

অন্ধকার বা আলো বন্ধ করে নামাজ পড়া যাবে?

ইমানের পর ইসলামের সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ আমল হল সালাত বা নামাজ। নামাজ ইসলামের প্রাণ। মুমিন এবং কাফেরের মাঝে বড় পার্থক্য হল নামাজ। পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ ছাড়াও নফল নামাজ পড়ার বিধান ইসলামী শরিয়তে রয়েছে।

হাদিস শরিফে রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘ফরজ নামাজের ঘাটতি থাকলে নফল নামাজ তা পূরণ করে দেয়। তাই তোমরা বেশি বেশি নফল নামাজ পড়।’ ফরজ নামাজের রাকায়াত সংখ্যা এবং সময় নির্দিষ্ট। কিন্তু নফল নামাজের নির্দিষ্ট কোনো রাকায়াত সংখ্যা নেই এবং সময়ও নেই। 

সাধারণত দিনের আলো অথবা রাতের অন্ধকারে আলো জ্বালিয়ে নামাজ পড়া হয়। তবে অন্ধকারে নামাজ পড়া যাবে কি না এ বিষয়ে অনেকের সংশয় রয়েছে। 

এ ব্যাপারে সঠিক মাসআলা হলো- কেবলা যদি ঠিক থাকে, তাহলে অন্ধকারে নামাজ পড়তে-পড়াতে কোন সমস্যা নেই। মাকরূহও হবে না। সিজদার জায়গার দিকে নজর রাখা সুন্নাত। কিন্তু তার জন্য ওই জায়গা দেখতে পাওয়া বা দেখতে থাকা জরুরি নয়।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রী হজরত আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে ঘুমাতাম, আমার পা দু’খানা তার কিবলার দিকে ছিল। তিনি সিজদায় গেলে আমার পায়ে মৃদু চাপ দিতেন, তখন আমি পা দু’খানা গুটিয়ে নিতাম। আর তিনি দাঁড়িয়ে গেলে আমি পা দু’খানা প্রসারিত করতাম। তিনি বলেন, সে সময় ঘরগুলোতে বাতি ছিল না।  (সহিহ বুখারি-১/২৩, হাদিস নং-৩৮২)

মৃতদের মাগফিরাতে যেসব আমল করবেন

এছাড়াও একাধিক হাদিসে এসেছে যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্ধকার ঘরে নামাজ আদায় করেছেন। যেমন, আম্মাজান আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক রাতে আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বিছানায় পাচ্ছিলাম না। তখন আমি আমার হাত দ্বারা তাকে খুঁজতে লাগলাম। তখন আমার হাত তার পদযুগলের উপর পতিত হল। তখন তার পা খাড়া ছিল আর তিনি ছিলেন সিজদারত। 

তিনি বলছিলেন, (হে আল্লাহ!) আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি তোমার ক্রোধ হতে তোমার সন্তুষ্টির, তোমার শাস্তি থেকে তোমার ক্ষমার আর আমি তোমার আশ্রয় গ্রহণ করছি তোমা হতে। তোমার প্রশংসা করে আমি শেষ করতে পারব না, তুমি নিজে ঐরূপ, যেরূপ তুমি নিজের প্রশংসা করেছ। (সুনান নাসায়ী ১৬৯)

তবে জামাতে নামাজ পড়ার সময় কাতার সোজা করার জন্য রাত্রে আলোর প্রয়োজন। কাতার সোজা করার পর আর আলোর প্রয়োজন নেই। তাই কাতার সোজা করতে যদি কোন প্রকার অসুবিধা না হয়, তাহলে লাইট বন্ধ করে অন্ধকারেও জামাত করে নামাজ আদায় করতে কোন অসুবিধা নেই। (ফতোয়ায়ে শামী ১/৪৭৭) (ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী ১/৬৪)

সুরা মুলক তিলাওয়াতে মিলবে যেসব ফজিলত

 


 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম