Logo
Logo
×

ইসলাম ও জীবন

গোসল ফরজ হয় যেসব কারণে

Icon

মুফতি শফিকুল ইসলাম

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৪, ১২:৩২ পিএম

গোসল ফরজ হয় যেসব কারণে

অপবিত্রতা থেকে পবিত্র হওয়ার জন্য বাধ্যতামূলক যে গোসল করতে হয় সেটিই ফরজ গোসল। তিন অবস্থায় এ গোসল ফরজ হয়। এ অবস্থায় গোসল না করলে অপবিত্র থাকতে হয়। 

তাহলো- ১. ঘুম কিংবা জেগে থাকা অবস্থায় শারীরিক উত্তেজনার সঙ্গে বীর্যপাত হলে ওই ব্যক্তির ওপর গোসল করা ফরজ। গোসল না করা পর্যন্ত সে অপবিত্র থাকবে। তবে ঘুমে থাকা অবস্থায় উত্তেজনা অনুভব না হলেও গোসল ফরজ। কারণ অনেক সময় ঘুমে স্বপ্নদোষ হলে টের পাওয়া যায় না। 

ঘুম থেকে জেগে ওঠার পর যদি কাপড়ে নাপাকির চিহ্ন দেখা যায় আর সেক্ষেত্রে স্বপ্ন দোষের কথা স্মরণ থাকুক আর না থাকুক এ অবস্থায়ও গোসল করা ফরজ। (হেদায়া) 

২. স্ত্রীর সঙ্গে মেলামেশা করলে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের উপর গোসল করা ফরজ। স্বামী-স্ত্রীর সহবাসের ক্ষেত্রে স্ত্রীর গোপনাঙ্গে পুরুষাঙ্গ সর্বনিম্ন সুপারি পরিমাণ অংশ প্রবেশ করালেই উভয়ের ওপর গোসল ফরজ হয়ে যাবে। তাতে বীর্যপাত হোক আর না হোক; উভয়কে গোসল করতে হবে। (বুখারি ও মুসলিম) 

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি স্ত্রীর চার শাখার মাঝে বসে তার সঙ্গে সঙ্গত হলে (সহবাস করলে), তার উপর গোসল ওয়াজিব হয়ে যায়। (বুখারি)

৩. হায়েজ-নেফাস থেকে মুক্ত হলে। নারীদের মাসিক ঋতুস্রাব (হায়েজ) বন্ধ হলে এবং সন্তান প্রসব করার পর রক্ত (নেফাস) বন্ধ হলে পবিত্রতার নিয়তে গোসল করা ফরজ। যতদিন রক্ত বন্ধ না হবে ততদিন ওই নারী অপবিত্র থাকবে। 

মহান আল্লাহতায়ালা কুরআনুল কারিমে নারী-পুরুষের যৌনমিলন, স্বপ্নদোষ বা যে কোনো উপায়ে বীর্যপাতের মাধ্যমে কিংবা হাফেজ-নেফাসের কারণে অপবিত্র হলে তাকে পবিত্রতা হওয়ার নির্দেশ দেন এভাবে-ْ ‘আর যদি তোমরা অপবিত্র হও তবে সারা দেহ পবিত্র করে নাও।’ (সুরা: মায়েদা, আয়াত : ৬)

বিষাক্ত প্রাণীর অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকার দোয়া

উল্লেখিত অপবিত্রতা থেকে পবিত্র হতে ৩টি কাজ করা ফরজ। যথাযথভাবে এ ৩ কাজ আদায় না করলে গোসলের ফরজ আদায় হবে না।

কাজ তিনটি হলো-১. কুলি করা । (বুখারি, ইবনে মাজাহ)২. নাকে পানি দেওয়া। (বুখারি, ইবনে মাজাহ)৩. সারা শরীর পানি দিয়ে এমনভাবে ধোয়া যাতে দেহের চুল পরিমাণ জায়গাও শুকনো না থাকে। (আবু দাউদ) 

তবে ফরজ গোসল সম্পন্ন করার সর্বোত্তম নিয়ম হলো-১. বিসমিল্লাহ বলে শুরু করা। বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বলে গোসল শুরু করা। তবে গোসলখানা ও টয়লেট একসঙ্গে থাকলে বিসমিল্লাহ মুখে উচ্চারণ করে বলা যাবে না। 

২. হাত ধোয়া। অর্থাৎ উভয় হাতের কব্জি পর্যন্ত ধোয়া। ৩. লজ্জাস্থান ধোয়া। বাম হাতে পানি দ্বারা লজ্জাস্থান পরিস্কার করা। সম্ভব হলে ইস্তিঞ্জা তথা পেশাব করে নেওয়া। এতে নাপাকি সম্পূর্ণরূপে বের হয়ে যাবে।

৪. নাপাকি ধোয়া। কাপড়ে বা শরীরের কোনো অংশে নাপাকি লেগে থাকলে তা ধুয়ে নেওয়া। ৫. ওজু করা। পা ধোয়া ছাড়া নামাজের অজুর ন্যয় অজু করে নেওয়া।

৬. অতঃপর ফরজ গোসলের তিন কাজ- কুলি করা, নাকে পানি দেওয়া এবং পুরো শরীর ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া। যাতে শরীরের একটি লোমকুপও শুকনো না থাকে। ৭. পা ধোয়া। সবশেষে গোসলের স্থান থেকে একটু সরে এসে উভয় পা ভালোভাবে ধোয়া।

স্ত্রী কি স্বামীকে দেনমোহর গিফট করতে পারবেন?

 
Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম