Logo
Logo
×

ইসলাম ও জীবন

পাঁঠা কুরবানি করা যাবে?

Icon

ইসলাম ও জীবন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৪, ০৬:০২ এএম

পাঁঠা কুরবানি করা যাবে?

কুরবানিকে আরবি ভাষায় ‘উযহিয়্যা’ বলা হয়। ‘উযহিয়্যা’ শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো ওই পশু যা কুরবানির দিন জবাই করা হয়। 

কুরবানি দিতে হবে শরিয়ত যে ধরনের পশু পছন্দ করে। যেমন- উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা ইত্যাদি দিয়ে। এ ধরনের পশুকে কুরআনের ভাষায় বলা হয় ‘বাহিমাতুল আনআম অর্থাৎ অহিংস্র গৃহপালিত চতুষ্পদ জন্তু।’

এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য কুরবানির নিয়ম নির্ধারণ করে দিয়েছি। জীবনোপকরণ স্বরূপ তাদের যেসব ‘বাহিমাতুল আনআম’ দিয়েছি সেগুলোর ওপর তারা যেন আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে।’ (সুরা হজ, আয়াত ৩৪।)

কুরবানির পশু কেমন হবে এ সম্পর্কে হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা চেষ্টা করবে কুরবানির জন্য নির্দিষ্ট বয়সের পশু নির্বাচন করতে। যদি না পাও তাহলে ছয় মাসের দুম্বা কুরবানি করতে পার। (মুসলিম।)

ফকিহরা বলেছেন, উটের বয়স পাঁচ বছর, গরু বা মহিষ দুই বছর, ছাগল, ভেড়া, দুম্বা এক বছরের হওয়া শর্ত। বয়স কম; কিন্তু দেখতে হৃষ্টপুষ্ট এমন পশু দিয়ে কোরবানি করা জায়েজ হওয়ার পক্ষে বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন।

ছাগল বলতে খাসি ছাড়া পাঁঠা ও ছাগিও বোঝানো হয়েছে। অনেকেই মনে করে পাঁঠার গোশত খাওয়া জায়েজ হবে কিনা। পাঁঠার গোশত খাওয়া জায়েয এবং তা কুরবানিও করা যাবে। বাংলাদেশে পাঁঠা কুরবানি করার প্রচলন না থাকলেও ভারত ও পাকিস্তানে এর প্রচলন আছে।

তবে খাসি ছাগল কুরবানি দেওয়া উত্তম। কারণ রাসূলুল্লাহ (সা.) খাসি কুরবানী দিয়েছিলেন। 
 
(ইবনু মাজাহ্ হা/৩১২২; মিশকাত হা/১৪৬১, বায়হাক্বী, ইরওয়া হা/১১৩৮)।
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম