Logo
Logo
×

ইসলাম ও জীবন

হজ কখন ফরজ হয়

Icon

মাহমুদ হাসান ফাহিম

প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৪, ০৫:৪২ পিএম

হজ কখন ফরজ হয়

ঈমানের পর ইবাদত চতুষ্টয়ের মধ্যে হজ একটি ব্যতিক্রমধর্মী ইবাদত। এতে যেমন নামাজের মতো দৈহিক কষ্ট স্বীকার করতে হয়, তেমনি জাকাতের মতো অর্থও ব্যয় করতে হয় সমানভাবে। এটিই একমাত্র ফরজ ইবাদত, যাতে আর্থিক এবং দৈহিক ত্যাগের সমন্বয় ঘটে।

আল্লাহ তাআলা তার প্রিয় বান্দাদের মধ্যে যারা সামর্থ্যবান তাদের ওপর বায়তুল্লাহর হজ ফরজ করেছেন। আর সামর্থ্যবানদের পরিচয় হলো, যাদের কাছে নিত্য প্রয়োজনের অতিরিক্ত এই পরিমাণ সহায়-সম্পদ থাকে, যা দ্বারা তার হজে যাওয়া-আসার এবং নিজের ও পরিবার-পরিজনের ভরণপোষণের খরচ চলে। তাহলে এই ব্যক্তিকে সামর্থ্যবান বলা হবে। সে সুস্থ, স্বাধীন, বুদ্ধিমান, প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম হলে তার ওপর হজ আদায় করা ফরজ। 

পবিত্র কুরআনের ভাষায়, ‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে (কাবাঘরে) পৌঁছার সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর বাইতুল্লাহ’র হজ করা ফরজ। কেউ তা অস্বীকার করলে সে জেনে রাখুক, আল্লাহ তো বিশ্ব জগতের সবকিছু হতে নির্মুখাপেক্ষী’ (সুরা আলে ইমরান : ৯৭)। 

আয়াতে দুই ধরনের সক্ষমতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, এক. দৈহিক সক্ষমতা অর্থাৎ শারীরিকভাবে সুস্থ হওয়া এবং হজের সফরের কষ্ট সহ্য করতে পারা। 

দুই. আর্থিক সক্ষমতা অর্থাৎ (প্রয়োজন অতিরিক্ত) এতটুকু সম্পদ থাকা, যাতে তার যাওয়া-আসার ব্যয় সংকুলান হয়। যার মালিকানায় নিত্যপ্রয়োজনীয় আসবাবপত্র এবং নিজের ও পরিবারের ভরণপোষণের খরচের অতিরিক্ত এই পরিমাণ টাকা-পয়সা বা সহায়-সম্পত্তি আছে, যা দ্বারা হজে যাওয়া-আসার ব্যয় এবং হজকালীন সাংসারিক খরচ চলে, তার ওপর হজ করা ফরজ (ফাতাওয়ায়ে শামী : ৩/৪৫৫-৪৬১; ফাতাওয়ায়ে আলমগিরি : ১/২৮০-২৮৫)।

তবে পুরুষের মতো আর্থিক ও শারীরিক সক্ষমতা থাকলেই নারীর ওপর হজ ফরজ হয় না, বরং তাদের জন্য একটি অতিরিক্ত শর্ত, তাদের স্বামী বা মাহরামের সঙ্গে যেতে হবে। (বাহরুর রায়েক: ২/৩৩৯)

আর একবার হজ ফরজ হলে, তা আর কখনো মাফ হয় না। অহেতুক হজ আদায়ে বিলম্ব করাও গুনাহ।(আহসানুল ফতোয়া: ৪/৫২৮) 

লেখক: শিক্ষক, বাইতুল আকরাম মসজিদ ও মাদরাসা কমপ্লেক্স টঙ্গী, গাজীপুর।  
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম