নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রায় প্রতিটি দোয়াই ক্ষমাঘেঁষা। প্রায় সব দোয়াতেই তিনি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। এর মাধ্যমে উম্মতকে সবসময় আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার শিক্ষা দিয়েছেন নবীজি (সা.)। এ কারণে জীবনের প্রায় প্রতিটি বিষয়েই আমরা রাসুলের (সা.) শেখানো দোয়া দেখতে পাই।
তেমনই নামাজে দুই সিজদার মধ্যবর্তী বৈঠকেও দোয়ার কথা বিভিন্ন হাদিসে পাওয়া যায়। এ দুটি দোয়ার মূল বিষয়-ক্ষমা।
দুটি দোয়াই একসঙ্গে পড়তে হবে, এমন নয়। একসঙ্গেও পড়া যায়, সময় কম থাকলে, ছোটটা পড়া যায়। আবার এ দুটি দোয়া পড়তেই হবে এমনও নয়।
তবে, দোয়া দুটি পড়ার মাধ্যমে ক্ষমা পাওয়ার আশা তো আছেই, পাশাপাশি নামাজেও ধীরস্থিরতা আসে। যাদের নামাজ তাড়াহুড়া হয়ে যায়, তারা এ দুটি দোয়া পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে, ফল পাওয়া যাবে। তবে এসব মাসনুন দোয়া, নফল বা সুন্নতেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে পড়া উচিত।
দুই সিজদার মধ্যবর্তী বৈঠকের দোয়া:
رَبِّ اغْفِرْ لِيْ، رَبِّ اغْفِرْ لِيْ
বাংলা উচ্চারণ- রব্বিগফির লী, রব্বিগফির লী
হে আমার রব! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন।
অর্থ- হে আমার রব! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন। (আবূ দাউদ:৮৭৪)
اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ، وَارْحَمْنِيْ، وَاهْدِنِيْ، وَاجْبُرْنِيْ، وَعَافِنِيْ، وَارْزُقْنِيْ، وَارْفَعْنِيْ
বাংলা উচ্চারণ- আল্লা-হুম্মাগফির লী, ওয়ারহামনী, ওয়াহদিনী, ওয়াজবুরনী, ওয়া‘আফিনি, ওয়ারযুক্বনী, ওয়ারফা‘নী
অর্থ- হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, আমার প্রতি দয়া করুন, আমাকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন, আমার সমস্ত ক্ষয়ক্ষতি পূরণ করে দিন, আমাকে নিরাপত্তা দান করুন, আমাকে রিযিক দান করুন এবং আমার মর্যাদা বৃদ্ধি করুন। (আবূ দাউদ: ৮৫০)