
প্রিন্ট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:০৩ পিএম
প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২৮ পিএম
-6763d9284bfc5.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
আরও পড়ুন
ডিজিটাল বিভাজন দূর করতে একযোগে কাজ করার বিকল্প নেই। সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া বিভাজন দূর করা সম্ভব নয়। এমনকি উদ্ভাবনেও প্রয়োজনের সহযোগিতা। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে চলমান ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স ফোরাম (আইজিএফ) ২০২৪-এর বিভিন্ন সেশনে স্পিকার, ইন্টারনেট বোদ্ধা, প্রযুক্তি ব্যক্তিরা, এমনকি বৈশ্বিক নেতারা একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
আয়োজনের তৃতীয় দিনে, ‘সমন্বিত ডিজিটাল উদ্ভাবন এবং রূপান্তর’ শীর্ষক এক সেমিনারে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)-এর চিফ ডিজিটাল অফিসার রবার্ট ওপ বলেন, ‘ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য আমাদের প্রয়োজন দৃঢ অবকাঠামো, যা উদ্ভাবনের সহায়ক হবে।’ তিনি বলেন, ইউএনডিপি বর্তমানে ১২৫টি দেশে কাজ করছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ হচ্ছে কেনিয়ায় সরকারি কর্মচারীদের এআই এবং ডিজিটাল দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ প্রদান।
তিনি গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্টকে একটি নীতিমালা নির্দেশিকা হিসাবে তুলে ধরেন, যা ডিজিটাল যুগে মানবাধিকার এবং নৈতিক শাসনব্যবস্থা নিশ্চিত করবে। আমরা চাই, সবাই মিলে বিভাজন দূর করতে এগিয়ে আসুক। কোনো দেশ বা জাতিকে পিছিয়ে পড়তে দেখতে চাই না।
ইতালির ডিজিটাল এজেন্সি এবং ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব ইঞ্জিনিয়ারিং অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএফইও) নেতারা এ আলোচনায় অংশ নেন।
ইতালির ডিজিটাল এজেন্সির পরিচালক মারিও নোবিলি দেশের ডিজিটাল উন্নয়নের সফল দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন। তিনি জানান, ইতালিতে বর্তমানে ৩৬ মিলিয়ন নাগরিক ডিজিটাল আইডি ব্যবহার করছেন এবং বছরে ২ বিলিয়ন ই-চালান প্রক্রিয়াকরণ করা হচ্ছে। নোবিলি বলেন, ‘প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশের কারণে আইনি কাঠামোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা কঠিন। তাই নাগরিকদের ডিজিটাল জ্ঞান নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
ডব্লিউএফইও প্রেসিডেন্ট গংকে বলেন, ‘ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য স্থানীয় চাহিদা অনুযায়ী সমাধান তৈরির পাশাপাশি এআই ব্যবহারে মানবিক তত্ত্বাবধান নিশ্চিত করা জরুরি।’ তিনি আফ্রিকার ১ লাখ ইঞ্জিনিয়ারকে এআই প্রশিক্ষণ প্রদানের দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পের কথাও উল্লেখ করেন।
সেশনের শেষে বক্তারা ঐকমত্য পোষণ করেন, ডিজিটাল বিভাজন দূর করতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি এবং শিক্ষায় বিনিয়োগ অপরিহার্য। গং সংক্ষেপে বলেন, ‘উদ্ভাবন ও দায়িত্বশীলতাকে একসঙ্গে মিলিয়েই আমরা সবার জন্য সমন্বিত ডিজিটাল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারব।’