
প্রিন্ট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১৯ পিএম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪৩ পিএম

আরও পড়ুন
গত এক দশকে প্রথমবারের মতো সবচেয়ে শক্তিশালী বাতাসের আভাস পাওয়া যাচ্ছে পূর্ব এশিয়ার দেশ চীনে। আসন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় এরই মধ্যে এ নিয়ে দেশটিতে দেওয়া হয়েছে নানা ধরনের সতর্কবার্তা। কর্মজীবীদের তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে যেতে বলা হয়েছে। স্থগিত করা হয়েছে ক্লাশ।
এছাড়াও বহিরাঙ্গনে সব অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে। ৫০ কেজির কম ওজনের নাগরিকদের দেওয়া হচ্ছে বাড়তি সতকর্তা।
কিছু রাষ্ট্রীয় মিডিয়া আউটলেট সতর্ক করে বলেছে- ‘দমকা বাতাসে উড়ে যাবেন, ঘরে থাকেন। বাইরে বের হলে সহজেই উড়িয়ে নিয়ে যাবে আপনাদের’। খবর এএফপি’র।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গোলিয়া থেকে ঠান্ডা বাতাসের প্রবাহ শুক্র থেকে রোববার পর্যন্ত প্রবাহিত হবে। এটি বেইজিং, তিয়ানজিন, হেবেইসহ অন্যান্য অঞ্চলে ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসবে; যা দেখেছে তার চেয়ে শক্তিশালী হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বছরের এ সময় মঙ্গোলিয়া থেকে প্রবল বাতাস আসা অস্বাভাবিক নয়। তবে বেইজিংয়ের তাপমাত্রা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে।
বেইজিং মেটিওরোলজিক্যাল সার্ভিস বলেছে, এ শক্তিশালী বাতাস চরম, দীর্ঘসময় ধরে চলে, বিস্তৃত এলাকাকে প্রভাবিত করে; যা অত্যন্ত বিপর্যয়কর।
চীন একটি স্কেল দিয়ে বাতাসের গতি পরিমাপ করে, যা লেভেল ১ থেকে ১৭ পর্যন্ত যায়। চায়না মেটিওরোলজিক্যাল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মতে, ১১ লেভেলের বাতাস ‘মারাত্মক ক্ষতি’ করতে পারে। কিন্তু যদি প্রবাহ ১২ লেভেলে পৌঁছায় তাহলে সেই বাতাস ‘চরম ধ্বংস’ নিয়ে আসে।
এ সপ্তাহ শেষে বায়ু ১১ থেকে ১৩ লেভেল পর্যন্ত হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এমনকি এ সপ্তাহে নির্ধারিত বেশ কয়েকটি ক্রীড়া অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়াও পার্ক এবং পর্যটন আকর্ষণগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাশপাশি নির্মাণকাজ এবং ট্রেন পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে।
বিভিন্ন শহরজুড়ে হাজার হাজার হেলে পড়া গাছ কেটে ফেলা হয়েছে, যাতে সেগুলো পড়ে না যায়। এছাড়াও কর্মকর্তারা মানুষকে পাহাড় ও বনে প্রবেশ করতে নিষেধ করেছেন।
এছাড়া বেইজিংও বনের আগুনের জন্য একটি সতর্কতা জারি করেছে এবং লোকজনকে বাইরে আগুন জ্বালাতে নিষেধ করেছে। রোববার রাত থেকে বাতাস দুর্বল হতে শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে।