
প্রিন্ট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২৩ পিএম
ইসরাইলে তিনটি রকেট ছুড়ল হামাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১৭ পিএম

আরও পড়ুন
ইসরাইলে তিনটি রকেট হামলা করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। তবে এতে কেউ আহত হয়নি। খবর আল-জাজিরার।
টেলিগ্রাম চ্যানেলে শনিবার এক বিবৃতিতে এ হামলার কথা স্বীকার করেছে হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেড। তারা বলেছে, ইসরাইলের নির ইৎজাক এলাকায় ‘রাজুম’ নামের স্বল্প-পাল্লার তিনটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে।
এর আগে ইসরাইল জানিয়েছিল, গাজা থেকে ছোড়া তিনটি রকেট তারা প্রতিহত করেছে।
কয়েকদিন আগেও ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলের আশদোদ শহরে ১০টি রকেট হামলা চালিয়েছিল হামাস।
এদিকে গাজা গাজায় বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুগুলোয় প্রতিনিয়তই বাড়ছে ইসরাইলি হামলা। সম্প্রতি ইসরাইলের ৩৬টি হামলা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বেশির ভাগ হামলায়ই নারী ও শিশুদের টার্গেট করা হয়েছে। এ ছাড়াও ১৮ মার্চ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত আবাসিক ভবনও শরণার্থী তাঁবুতে ইসরাইলি হামলার প্রায় ২২৪টি ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার জাতিসংঘের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি এ বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, গাজাজুড়ে সামরিক হামলায় ‘কেউ কোথাও নিরাপদ নয়’।
গাজার নিপীড়িত মানুষের কথা উল্লেখ করে শামদাসানি আরও বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে লোকজনকে নিরন্তর ‘জোরপূর্বক স্থানান্তর’ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সামগ্রিকভাবে আমাদের অফিসের নথিভুক্ত তথ্য অনুসারে, মৃত্যুর একটি বড় শতাংশ শিশু ও নারী।’
সেসময় এ কর্মকর্তা দেইর আল বালাহতে আবু ইসা পরিবারের কথা উল্লেখ করেন। তার তথ্যানুযায়ী, একটি আবাসিক ভবনে ৬ এপ্রিল একটি মেয়ে, চার নারী এবং একটি চার বছর বয়সি ছেলে নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। উচ্ছেদের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ইসরাইলের সামরিক আদেশে বেসামরিক নাগরিকরা খান ইউনিসের আল মাওয়াসি এলাকায় আশ্রয় নেয়। কিন্তু সেই এলাকার তাঁবুতেও হামলা অব্যাহত ছিল। ১৮ মার্চ থেকে এ ধরনের অন্তত ২৩টি ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে।’
এরপর শামদাসানি ইসরাইলি সেনাবাহিনীর ৩১ মার্চের একটি আদেশের কথা উল্লেখ করেছেন। সেখানে গাজার প্রাণকেন্দ্র রাফাহতে বড় আকারের স্থল অভিযান শুরু হয়। ইসরাইলের বাস্তচ্যুতির বিষয়টিকে নিন্দা জানিয়ে শামদাসানি আরও বলেন, অধিকৃত অঞ্চলের মধ্যে বেসামরিক জনসংখ্যাকে স্থায়ীভাবে বাস্তুচ্যুত করা জোরপূর্বক স্থানান্তরের সমান। এ বিষয়টি চতুর্থ জেনেভা কনভেনশনের একটি গুরুতর লঙ্ঘন এবং এটি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।
ঘটনাপ্রবাহ: হামাস ইসরাইল যুদ্ধ
আরও পড়ুন