
প্রিন্ট: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০৫ পিএম
পশ্চিম তীরে ১৩টি ইহুদি বসতি এলাকার স্বাধীনতা অনুমোদন ইসরাইলের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৫:২৬ পিএম

আরও পড়ুন
অধিকৃত পশ্চিম তীরে ১৩টি ইহুদি বসতি এলাকাকে আশপাশের এলাকাগুলো থেকে আলাদা ঘোষণা করার একটি পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে ইসরাইলের নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিপরিষদ। রোববার ইসরাইলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিচ এ তথ্য জানান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে স্মোটরিচ এ বিষয়ে বলেছেন, বসতি এলাকাগুলো শেষ পর্যন্ত স্বাধীন হিসেবে স্বীকৃতি পাবে। পশ্চিম তীরজুড়ে কয়েক হাজার আবাসনের অনুমোদনের পর এমন পদক্ষেপ নেওয়া হলো।
স্মোটরিচ ওই এক্স পোস্টে আরও লিখেছেন, ‘আমরা বসতিগুলোতে স্বাভাবিক অবস্থা ও নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার বিপ্লব চালিয়ে যাচ্ছি। লুকিয়ে না থেকে এবং ক্ষমা না চেয়ে আমরা পতাকা ওড়াই, নির্মাণ করি এবং বসতি স্থাপন করি। জুডিয়া ও সামারিয়ায় প্রকৃত সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এটি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’
মূলত গোটা পশ্চিম তীরকেই ‘জুডিয়া ও সামারিয়া’ হিসেবে অভিহিত করে থাকে ইসরাইল।
আন্তর্জাতিক বৈধতা ও সিদ্ধান্তকে তোয়াক্কা না করে বসতিগুলোকে আলাদা করা এবং সেগুলোকে স্বাধীন বসতি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সমালোচনা করেছে ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পশ্চিম তীরে ইসরাইলি পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে হামাস। তারা এটাকে ফিলিস্তিনি ভূমিতে ঔপনিবেশিক দখলদারি সুসংহত করার একটি মরিয়া প্রচেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করেছে।
১৯৬৭ সালে ছয় দিনের যুদ্ধে পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমের দখল নেয় ইসরাইল। এ এলাকাগুলোতে ২৭ লাখ ফিলিস্তিনির পাশাপাশি প্রায় ৭ লাখ ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের বসবাস।
বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ যুদ্ধে দখলকৃত ভূখণ্ডে ইসরাইলের বসতি স্থাপনকে অবৈধ বলে মনে করে। তবে বাইবেল ও ইতিহাসের বরাত দিয়ে ইসরাইল এ মতের বিরোধিতা করে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ইসরাইলের বসতি স্থাপনের পক্ষের রাজনীতিবিদেরা উৎসাহিত হয়েছেন।
কট্টর ডানপন্থি দল রিলিজিয়াস জায়নিজমের প্রধান স্মোটরিচ দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকারি জোটের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। স্মোটরিচ বছরের পর বছর ধরে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে আসছেন।
এদিকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের নেতৃত্বে ইসরাইলে হামলা চালানো হয়। সেই হামলার পুনরাবৃত্তি হওয়ার আশঙ্কায় পশ্চিম তীরের নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তরের বিরোধিতা আরও জোরালো করেছে ইসরাইল।
দখলদার ইসরাইলের সেনাবাহিনী বলেছে, তারা পশ্চিম তীরে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালাচ্ছে এবং সন্দেহভাজনদের নিশানা করছে।
ঘটনাপ্রবাহ: হামাস ইসরাইল যুদ্ধ
আরও পড়ুন