Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

খালিস্তানপন্থি সংগঠনকে ‘সন্ত্রাসী’ ঘোষণার দাবি, যুক্তরাষ্ট্রকে ভারতের আহ্বান

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৯:২১ এএম

খালিস্তানপন্থি সংগঠনকে ‘সন্ত্রাসী’ ঘোষণার দাবি, যুক্তরাষ্ট্রকে ভারতের আহ্বান

ভারত যুক্তরাষ্ট্রকে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘সিক্স ফর জাস্টিস’ (এসএফজে)-কে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করার অনুরোধ জানিয়েছে। মঙ্গলবার ভারত সরকারের এক সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে।  

বুধবার (১৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।

এই অনুরোধ এমন এক সময়ে এলো, যখন ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে যুক্তরাষ্ট্র জানায়, তারা এসএফজে নেতা গুরপতওয়ান্ত সিং পান্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করেছে, যার সাথে ভারতীয় সংযোগ ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। পরে, এই হত্যার পরিকল্পনার নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগে একজন সাবেক ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে যুক্তরাষ্ট্র।  

ভারত সরকার এই ষড়যন্ত্রের সাথে কোনো রাষ্ট্রীয় সংযোগ থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছিল এবং বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি প্যানেল গঠন করে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভারত জানায়, তদন্ত কমিটি একজন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে।  

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ডের মধ্যে আলোচনার সময় এসএফজে-কে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করার অনুরোধ জানানো হয় বলে সরকারি সূত্রটি জানিয়েছে। তবে আলোচনার বিষয়বস্তু গোপন থাকায় ওই সূত্রের নাম প্রকাশ করা হয়নি।  

এসএফজে ও ভারত সরকারের বিরোধ  

২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘সিক্স ফর জাস্টিস’ (এসএফজে) ভারতে শিখদের জন্য ‘খালিস্তান’ নামে একটি পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে গণভোট আয়োজন করে আসছে।  

২০১৯ সালে ভারত সরকার এসএফজে-কে ‘বেআইনি সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করে এবং তাদের বিরুদ্ধে উগ্রবাদী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ডে সমর্থনের অভিযোগ আনে। পরে, ২০২০ সালে পান্নুনকে ‘স্বতন্ত্র সন্ত্রাসী’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়।  

২০২৩ সালের জুন মাসে কানাডায় আরেক শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীর হত্যাকাণ্ড নিয়ে ভারত ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা দেখা দেয়।  

ভারতের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে এসএফজে বলেছে, তারা শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক উপায়ে খালিস্তান গণভোটের আয়োজন করছে।  

এক বিবৃতিতে পান্নুন বলেন, সন্ত্রাসী কারা? এসএফজে, যারা শান্তিপূর্ণভাবে পাঞ্জাবকে ভারতের দখলমুক্ত করতে গণভোট আয়োজন করছে, নাকি (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র) মোদির ভারত, যারা সহিংস আন্তর্জাতিক দমননীতি গ্রহণ করে এবং খালিস্তান গণভোটের সংগঠকদের হত্যার জন্য ভাড়াটে খুনি নিয়োগ দেয়?  

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া  

ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।  

যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, সোমবার ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যেসব আলোচনা প্রকাশ করা হয়েছে, তার বাইরে তাদের বলার মতো নতুন কিছু নেই। সেই বিবৃতিতে নিরাপত্তা সম্পর্ক জোরদারের কথা বলা হলেও এসএফজে-র বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।  

গ্যাবার্ডের দফতর ও মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার কার্যালয় এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য পাঠানো ইমেইলের তাৎক্ষণিক কোনো জবাব দেয়নি।  

তবে মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে এক ভূ-রাজনৈতিক সম্মেলনে গ্যাবার্ড বলেন, ভারতীয় কর্মকর্তাদের কাছ থেকে আমি তাদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত গুরুতর উদ্বেগের কথা শুনেছি। তবে তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম