সামাজিক মাধ্যমে নাগরিকদের জাতীয় মূল্যবোধ বজায় রাখার নির্দেশ আমিরাতের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২৫, ০২:০১ পিএম
-67d7d6d56e224.jpg)
সামাজিক মাধ্যমে নাগরিকদের জাতীয় মূল্যবোধ বজায় রাখার নির্দেশ আমিরাতের
সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) নাগরিক ও বাসিন্দাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জাতীয় মূল্যবোধ ও নৈতিক মান বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে। এসব নীতি লঙ্ঘন হলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছে দেশটির ন্যাশনাল মিডিয়া অফিস (এনএমও)।
সোমবার (১৭ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে দ্য এক্সেপ্রেস ট্রিবিউন।
রোববার এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এনএমও জানায়, সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীদের সংযত আচরণ বজায় রাখতে হবে এবং আমিরাতের মূল আদর্শ—সম্মান, সহনশীলতা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান—অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।
বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, আপনার প্রতিটি কাজ, ইতিবাচক বা নেতিবাচক, আপনার আমিরাতি পরিচয়ের প্রতিফলন।
তিনি নাগরিকদের অনুরোধ করেন, যাতে তারা ডিজিটাল মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি রক্ষায় দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেন।
ন্যাশনাল মিডিয়া অফিস জানায়, জাতীয় প্রতীক, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব বা মিত্র দেশগুলোর বিরুদ্ধে অবমাননাকর বা মানহানিকর পোস্ট দিলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া, ভুয়া তথ্য ছড়ানো, বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দেওয়া কিংবা মানহানিকর কন্টেন্ট পোস্ট করাও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এনএমও স্পষ্ট করেছে, সামাজিক মাধ্যমে এমন যেকোনো কার্যকলাপ দেশটির প্রচলিত আইন লঙ্ঘনের শামিল এবং যথাযথ আইনি পদক্ষেপের মুখে পড়তে হবে।
নাগরিকদের অনুরোধ করা হয়েছে, আপত্তিকর বা বিধিবহির্ভূত কন্টেন্ট দেখলে তা সংশ্লিষ্ট সরকারি চ্যানেলে রিপোর্ট করতে।
এনএমও বিশেষভাবে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে, সামাজিক মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাবমূর্তি উপস্থাপনের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল মাকতুমের নীতিমালা অনুসরণ করা উচিত।
এতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাতা শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের শিক্ষাকে ধারণ করে সামাজিক মাধ্যমে ইতিবাচক বার্তা ছড়ানো, অশ্লীল বা অবমাননাকর মন্তব্য এড়িয়ে চলা এবং বিশ্ব সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা জরুরি।
অফিসটি নিশ্চিত করেছে, তারা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও মিডিয়া নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে সামাজিক মাধ্যমে আইন লঙ্ঘনের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করবে এবং প্রয়োজনে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।