
প্রিন্ট: ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৩:৫৬ এএম
প্রস্তাব না মানলে রাশিয়াকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি জি-সেভেনের

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ১১:১৩ এএম

আরও পড়ুন
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রবিরতি প্রস্তাব মেনে নিতে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জি-সেভেন গোষ্ঠীর শীর্ষ কূটনীতিকরা।
শুক্রবার কানাডায় আলোচনা শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে কূটনীতিকরা বলেন, আমরা রাশিয়াকে এতে সাড়া দিয়ে সমতার শর্তে অস্ত্র বিরতিতে সম্মত হতে এবং তা সম্পূর্নভাবে প্রয়োগ করতে আহ্বান জানিয়েছি। যদি এই অস্ত্র বিরতিতে সম্মত না হয় তা হলে রাশিয়াকে আরও মূল্য দিতে হবে যার মধ্যে রয়েছে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ , তেলের মূল্যবৃদ্ধি বন্ধ করা আর ইউক্রেনকে আরও সহায়তা প্রদান এবং অন্যান্য উপায়।
হোয়াইট হাউস বলেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বৃহস্পতিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন।
শুক্রবার কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রী মেলানি জোলি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রবিরতি প্রস্তাব যাতে ইউক্রেনেরও সমর্থন আছে সেটি সম্পর্কে জি-সেভেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সকলেই সম্মত। আর এখন রাশিয়ার জবাব পাওয়ার অপেক্ষায় আছি।
তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনের ব্যাপারে বল এখন রাশিয়ার কোর্টে।
একই কথার প্রতিধ্বনি তুলে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বলেন, এ ব্যাপারে সবাই একমত যে এখনই সময়, কোন শর্ত ছাড়াই অস্ত্র বিরতির। ইউক্রেন তার অবস্থা স্পষ্ট করেছে । এখন এটা গ্রহণ করা রাশিয়ার উপর নির্ভর করছে।
ল্যামি আরও বলেন যে ইউক্রেনকে প্রয়োজনীয় ‘নিরাপত্তা অবকাঠামো’ প্রদান এবং অস্ত্রবিরতির পক্ষে নজরদারি করার উপায় নিয়ে কাজ করতে সকলেরই সম্মিলিত ইচ্ছা আছে।
জি-সেভেনের এই যৌথ বিবৃতিটি এমন সময়ে আসলো যখন ক্রেমলিন বলছে যে ইউক্রেনের সঙ্গে অস্ত্রবিরতি চুক্তির ব্যাপারে আরও অনেক কিছু করার রয়েছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব পুরোপুরি মেনে নেয়া সম্পর্কে রাশিয়ার অনীহার ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দ্যমিত্রি পেসকভ বলেন অস্ত্রবিরতি প্রয়োগ করার ব্যাপারে অনেক প্রশ্নের উত্তরের জন্য পুতিন অপেক্ষা করছেন।
এ দিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি পুতিনের উত্তরকে এই বলে নাকচ করে দিয়েছেন যে এ হচ্ছে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ এমন শর্ত প্রযোগ করা যা বিষয়টিকে জটিল করে তুলবে এবং প্রক্রিয়া থেকে বের করে আনবে।
রুদ্ধদ্বার বৈঠকে জি-সেভেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈশ্বিক নিরাপত্তায় চীনের ভূমিকা, ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও নৌচলাচলের নিরাপত্তা নিয়েও আলোচনা করেন।
শুক্রবার জি-সেভেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা চীন, উত্তর কোরিয়া, ইরান ও রাশিয়ার তরফ থেকে কৌশলগত চ্যালেঞ্জের বিষয়ক একটি অধিবেশনে মিলিত হন। পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক অনেক বিশ্লেষক এবং সামরিক কর্মকর্তারা এই চারটি দেশের পশ্চিমা বিরোধী জোটকে ‘অশান্তির অক্ষ’ বলে অভিহিত করেন।