রুশ বিমানঘাঁটিতে আশ্রয় নিলেন ৯ হাজার সিরীয়, নেপথ্যে কী?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪০ এএম

ছবি: সংগৃহীত
সাম্প্রদায়িক সহিংসতা থেকে বাঁচতে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সিরিয়ার হমেইমিমে রুশ বিমানঘাঁটিতে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ৯ হাজার মানুষ। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এ তথ্য জানিয়েছে।
এক প্রতিবেদনে সোমবার (১৩ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের ডিসেম্বরে সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার-আল আসাদের পতন সত্ত্বেও রাশিয়া সিরিয়ায় যে দুটি সামরিকঘাঁটি ধরে রাখার আশা করছে, তার মধ্যে হমেইমিম একটি। এবার সাম্প্রদায়িক সহিংসতা থেকে বাঁচতে সে ঘাঁটিতেই আশ্রয় নিল হাজারো সিরীয়।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা আশ্রয় খুঁজছিল। তারা বুঝতে পরেছিল এটি তাদের জীবন-মৃত্যুর বিষয়। ’
তিনি বলেন, ‘সেখানে আশ্রয় নেওয়া বেশিরভাগ বেসামরিক নাগরিকই নারী ও শিশু। ‘
সিরিয়ায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতা অন্তর্বর্তী সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীকে আসাদের আলাউয়ি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে মুখোমুখি করেছে। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলায় শত শত আলাউয়ি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা বলেছেন, আলাউয়িদের হত্যা ‘সিরিয়ার ঐক্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ’
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে মস্কো বছরের পর বছর ধরে যাকে সমর্থন করে আসছিল, তার (আসাদ) পতন মধ্যপ্রাচ্যে তাদের স্বার্থে বিরাট আঘাত এনেছে। রাশিয়া আল-শারার নেতৃত্বে এখন নতুন সিরীয় প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। তবে হামেইমিম বিমান ঘাঁটি এবং তারতুস নৌ-ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ এখনও অস্পষ্ট।
জাখারোভা বলেন, ‘রাশিয়া সিরিয়ায় তাদের নাগরিক এবং সুযোগ-সুবিধার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সবকিছু করছে। দেশটির দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য আরব রাষ্ট্র, তুরস্ক এবং ইরানের সঙ্গে সক্রিয় যোগাযোগ রাখছে। ’
তিনি বলেন, সিরিয়ার সহিংসতায় মস্কো হতবাক। আশা করা হচ্ছে, দ্রুত অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া হবে।