
প্রিন্ট: ০১ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:২৮ পিএম
মরে গিয়েও বেঁচে আছে ২ কোটি মানুষ!

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৫, ০৮:৪৮ পিএম

প্রতীকী ছবি
যুক্তরাষ্ট্রে মরে গিয়েও বেঁচে আছেন মানুষ। শুধু একজন-দু’জন নয়। ২ কোটি মানুষ। শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই দাবি করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও সরকারি কর্মদক্ষতা বিভাগের প্রধান ইলন মাস্ক। দেশটিতে অর্থ লোভে মৃতদের জীবিত রাখার চেষ্টা চলছে বলেই অভিযোগ তার। সোমবার মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাস্ক বলেছেন, সামাজিক নিরাপত্তা বিভাগের ডেটাবেজে ২ কোটি আমেরিকানকে জীবিত হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, যারা বহু আগেই মারা গেছেন। টাইম ম্যাগাজিন।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সুবিধাভোগী কর্মসূচিগুলোকে ব্যাপক জালিয়াতিতে ভরা বলেও অভিযোগ করেন মাস্ক। তিনি সরকারি ব্যয় হ্রাসের লক্ষ্যে এসব কর্মসূচিতে কাটছাঁট করার কথা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে দাবি করেছেন, ৫০০ থেকে ৭০০ বিলিয়ন ডলার অপচয় বন্ধ করা প্রয়োজন। তিনি বলেছেন, ফেডারেল ব্যয়ের অধিকাংশই সামাজিক সুবিধা কর্মসূচিতে যায়। আর এটিই সবচেয়ে বড় খাত, যেটা বাদ দেওয়া উচিত।
ফেডারেল পর্যবেক্ষক সংস্থার মতে, ২০১৫ থেকে ২০২২ অর্থবছরের মধ্যে অনিয়মিত অর্থ প্রদানের পরিমাণ ছিল ৭১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার, যা সেই সময়ের মোট প্রদত্ত সুবিধার ১ শতাংশেরও কম। মাস্ক আরও দাবি করেছেন, সামাজিক নিরাপত্তা ডেটাবেইজে ২ কোটি মৃত ব্যক্তি জীবিত হিসাবে নথিভুক্ত করা আছে। যুক্তরাষ্ট্রে অপচয়, জালিয়াতি এবং দুর্নীতির তথ্য খুঁজে বের করার জন্য কাজ করছেন মাস্ক এবং তার একটি দক্ষ টিম। সরকারি কার্যকারিতা বাড়ানো এবং ফেডারেল ডেটা খতিয়ে দেখার জন্য তাদেরকে দায়িত্ব দেওয়ার পরপরই সামাজিক নিরাপত্তা প্রশাসনে এ বিশাল অনিয়ম খুঁজে পাওয়ার কথা জানায় দলটি। তবে মৃত ব্যক্তিদের ব্যাপক অর্থ প্রদানে মাস্কের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন সংস্থাটির ভারপ্রাপ্ত কমিশনার লি ডুডেক। এসব ব্যক্তিদের সবাই সুবিধাভোগী নয় বলেই জানিয়েছেন তিনি।
মার্কিন এই কর্মসূচির আওতায় অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং কিছু শিশুকে মাসিক ভাতা দেওয়া হয়। ট্রাম্প এই কর্মসূচিকে রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিলেও মাস্ক এটিকে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় ‘বিনিয়োগ জালিয়াতি’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। এরই মধ্যে সংস্থাটির কিছু অফিস বন্ধও করে দিয়েছেন তিনি। মাস্ক বলেছেন, ‘ফেডারেল সামাজিক সুবিধা কর্মসূচিগুলো এমন একটি ব্যবস্থা যার মাধ্যমে ডেমোক্রেটরা অবৈধ অভিবাসীদের এখানে আসার জন্য অর্থ প্রদান করে এবং পরে তাদের ভোটারে বানিয়ে ফেলে।’