Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

গাজায় মানবিক সহায়তা বন্ধে জাতিসংঘ, আরব বিশ্বের নিন্দা

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ মার্চ ২০২৫, ০১:৪১ পিএম

গাজায় মানবিক সহায়তা বন্ধে জাতিসংঘ, আরব বিশ্বের নিন্দা

ছবি: সংগৃহীত

গাজায় খাদ্য ও অন্যান্য মানবিক সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে দখলদার ইসরাইল৷ এতে ভয়াবহ পরিস্থিতির আশঙ্কা করছে সহায়তাকারী সংস্থাগুলো৷ ইসরাইলের আচরণের সমালোচনা করেছে মিশর ও সৌদি আরব৷

রোববার গাজা উপত্যকায় জরুরি সহায়তা প্রবেশ বন্ধ করে দেয় ইসরাইল৷ নেতানিয়াহুর এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবিক সহায়তা সংস্থা এবং মিশর ও সৌদি আরব৷

নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য প্রতিনিধির প্রস্তাবিত শান্তিচুক্তি ‘হামাস প্রত্যাখ্যান’ করার প্রতিক্রিয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা৷

ইসরাইল-হামাস অস্ত্রবিরতির প্রথম পর্যায়ের মেয়াদ শনিবার শেষ হয়েছে, যার মধ্যে মানবিক সহায়তা বৃদ্ধির বিষয়টি যুক্ত ছিল৷ কিন্তু চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে পৌঁছাতে দুই পক্ষ এখনো সম্মত হতে পারেনি৷ প্রথম ধাপের মেয়াদ বৃদ্ধি করে হামাসের কাছ থেকে আরও বন্দির মুক্তি চায় ইসরাইল৷ কিন্তু হামাস চায় চুক্তিকে দ্বিতীয় ধাপে নিতে, যার উদ্দেশ্য হবে স্থায়ীভাবে যুদ্ধবন্ধ করা৷   

ইসরাইল অস্ত্রবিরতি চুক্তি ব্যাহত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছে হামাস৷ গাজায় মানবিক সহায়তা ঢুকতে না দেওয়াকে ‘যুদ্ধাপরাধ' হিসাবে অভিহিত করেছে তারা৷

অস্ত্রবিরতি বাড়ানোর জন্য মার্কিন প্রস্তাব হামাস প্রত্যাখ্যান করলে আরও পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে সতর্ক করেছে নেতানিয়াহুর কার্যালয়৷

আরব দেশগুলোর প্রতিক্রিয়া

ইসরাইল যুদ্ধবিরতি চুক্তির ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’ করেছে এমন অভিযোগ করেছে মিশর৷ ফিলিস্তিনিদের ‘অনাহারে রাখাকে ইসরাইল অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছে’ বলে অভিহিত করেছে তারা৷ 

ইসরাইলের সিদ্ধান্তকে ‘ব্ল্যাকমেল’ বা প্রতারণা এবং ফিলিস্তিনিদের ওপর ‘সামষ্টিক শাস্তি’ হিসাবে দেখছে সৌদি আরব৷ দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসরাইলকে থামাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে৷ ইসরাইলের পূর্বের প্রতিবেশী জর্ডানও মানবিক সহায়তা আটকে দেয়ার নিন্দা জানিয়েছে৷

ইসরাইলের সঙ্গে সৌদি আরবের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ার পথে বাধার উদ্দেশ্যেই ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাস ইসরাইলে হামলা চালায় বলে মনে করেন অনেক পর্যবেক্ষক৷ 

মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলোর প্রতিক্রিয়া

জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান টম ফ্লেচার ইসরাইলের সিদ্ধান্তকে ‘ভীতিকর’ বলে অভিহিত করেছেন৷ আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে মানবিক সহায়তা অবশ্যই অবাহত রাখতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি৷

মানবিক সহায়তাকে দরকষাকষির দান হিসাবে ব্যবহারের জন্য ইসরাইলকে অভিযুক্ত করেছে চিকিৎসা বিষয়ক দাতব্য সংস্থা এমএসএফ বা ডক্টর্স উইদাউট বর্ডার্স৷

গাজাবাসীর ওপর ইসরাইলের এই সিদ্ধান্তের প্রভাব ভয়াবহ হবে বলে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে’কে বলেছেন ইউনিসেফের মুখপাত্র রোসালিয়া বোলেন৷ তিনি জানান, প্রথম ধাপের চুক্তি কার্যকরের পর ‘মানবিক সহায়তা তাৎক্ষণিক স্বস্তি বয়ে আনার পাশাপাশি অনেকের জীবন বাঁচালেও তা প্রয়োজনের তুলনায় পর্যাপ্ত ছিল না’।

গত জানুয়ারিতে ইসরাইলের সঙ্গে অস্ত্রবিরতির অধীনে ৩৩ ইসরাইলি ও পাঁচ থাই বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস৷ স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধে আলোচনা চললেও দুইপক্ষ কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি৷ 

নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, হামাস রাজি হলে মার্কিন প্রস্তাব নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছাতে প্রস্তুত তারা৷ হামাসের প্রতি চুক্তিভঙ্গের অভিযোগ এনে তারা বলেছে, ‘কার্যকর মনে না করলে চুক্তি অনুযায়ী ৪২ দিন পর ইসরাইল আবারও যুদ্ধে ফেরত আসতে পারে৷

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম