ইমরান খানকে শোধরাতে হবে, কেন বললেন আব্বাসী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫২ পিএম

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়াম পাকিস্তান পার্টির (এপিপি) আহ্বায়ক শাহিদ খাকান আব্বাসী বলেছেন, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে আত্মবিশ্লেষণ করতে হবে এবং নিজেকে শোধরাতে হবে। না হলে দেশ এগোতে পারবে না।
সোমবার দেশটির একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আব্বাসী এসব কথা বলেন।
সেইসঙ্গে, যুক্তরাষ্ট্র ইমরান খানের মামলায় হস্তক্ষেপ করবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
শাহিদ খাকান আব্বাসী স্বীকার করেছেন যে, পিটিআই-এর জনসমর্থন শক্তিশালী। তবে দলটি যদি শাসনামলের পুরনো পদ্ধতি অব্যাহত রাখে, তাহলে এটি কারও জন্যই মঙ্গলজনক হবে না।
‘পিটিআই-র শাসনামলের ভুল পরবর্তী সরকার দ্বিগুণ করেছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইমরান খানের নিজের ভুলগুলো পুনর্বিবেচনা করা উচিত। কারণ তার দলের অভ্যন্তরীণ সংস্কার প্রয়োজন।
তার মতে, পিটিআই-এর করা ভুলগুলো পরবর্তী সরকার আরও প্রকটভাবে দ্বিগুণ করেছে।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা বিরোধীদের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছি এবং রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির বিষয়েও আলোচনা করেছি। কারণ দেশের সমস্যাগুলোকে সংবিধান ও নীতির ভিত্তিতে সমাধান করতে হবে’।
পাশাপাশি তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা এমন এক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করেছি, যেখানে একবার একজনকে ক্ষমতায় আনি, আবার অন্যজনকে নিয়ে আসি’।
তার মতে, দেশে রাজনৈতিক দ্বৈতনীতি ও ভণ্ডামি বন্ধ হলে ইমরান খানও স্বস্তি পাবেন এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক
‘পাকিস্তান রাশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে সেতুর ভূমিকা পালন করতে পারে’ উল্লেখ করে আব্বাসী বলেন, ইউরোপ রাশিয়ার দ্বারা হুমকির সম্মুখীন। তবে যুক্তরাষ্ট্র কেবল কূটনৈতিক চুক্তিতেই ব্যস্ত থাকবে। এক্ষেত্রে পাকিস্তানকে রাশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে এবং মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের চাপের বিষয়ে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সবসময় পাকিস্তানকে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক কমাতে বলেছে। কিন্তু চীন কখনো এমন কোনো দাবি করেনি, বরং পাকিস্তানের অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধিতে উৎসাহ দিয়েছে।
খাকান আব্বাসীর এই বক্তব্যে মূলত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের আত্মসমালোচনা, রাজনৈতিক সংস্কার, দেশ থেকে রাজনৈতিক দ্বৈতনীতি দূর করা এবং আন্তর্জাতিক ভারসাম্য বজায় রাখার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
তার মতে, পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে সঠিক কৌশল গ্রহণের ওপর। সূত্র: জিও নিউজ