যেভাবে ১২ বছরের আয়মানকে গুলি করে মারল ইসরাইলি সেনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২৫, ০৯:২৩ পিএম

আয়মান নাসের আল-হাইমুনি নামে ১২ বছর বয়সি এক ফিলিস্তিনি কিশোরকে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরাইলি সেনারা। গত ২১ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম তীরের হেবরন শহরে ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হয় শিশুটি।
এ নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ‘ডিফেন্স ফর চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনাল’ জানিয়েছে, ২০২৫ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ১৬ জন ফিলিস্তিনি শিশু ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছে। যদিও তারা কোনোভাবেই সেনাদের জন্য হুমকি ছিল না।
ঘটনার বিস্তারিত
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, আয়মান তার দাদার বাসা থেকে ফেরার সময় গুলিবিদ্ধ হন। শিশুটি হেবরনের জাবাল জাওহার এলাকায় তার আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল।
ঘটনার দিন শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় হেবরনের একটি প্রধান সড়কে ইসরাইলি বাহিনীর গুলি ছোড়ার শব্দ শোনা যায়। এ সময় আয়মান ও তার দুই কাজিন একটি বাড়ির গেটের ভেতরে প্রবেশ করে নিরাপদ আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করে।
সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী, এ সময় একটি গুলি গেটের ভেতরে ঢুকে তাকে আঘাত করে এবং এতে তার মৃত্যু হয়। ওই গুলিবর্ষণের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ইসরাইলি সেনারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়।
ফিলিস্তিনি শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বৃদ্ধি
গাজায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামলার পর থেকে ইসরাইল পশ্চিম তীরে সামরিক অভিযান জোরদার করেছে। ২০২৪ সালে সেখানে ৯৩ জন ফিলিস্তিনি শিশু ইসরাইলি সেনাদের হাতে নিহত হয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর আশঙ্কা, গাজার মতো পশ্চিম তীরেও ‘নিয়ম শিথিল করে’ সেনাদের হামলার মাত্রা আরও বাড়বে।
ডিফেন্স ফর চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধি আয়েদ আবু একতাইশ বলেন, ‘ইসরাইলি সেনাদের বিচার না হওয়ার কারণেই তারা নির্বিচারে হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে’।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
এছাড়াও জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে এবং দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে। সূত্র: এএফপি, আল-জাজিরা ও দ্য গার্ডিয়ান