Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

৪০ বছরে প্রায় ৯ হাজার ইট সংগ্রহ, গিনেস রেকর্ডে নাম লেখালেন মার্কিন ব্যক্তি

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৪৭ পিএম

৪০ বছরে প্রায় ৯ হাজার ইট সংগ্রহ, গিনেস রেকর্ডে নাম লেখালেন মার্কিন ব্যক্তি

ইট সংগ্রহও যে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে পারে, তা প্রমাণ করলেন যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমার ৮৭ বছর বয়সি ক্লেম রেইঙ্কেমেয়ার। প্রায় ৪০ বছর ধরে তিনি ৮,৮৮২টি ভিন্ন ধরনের ইট সংগ্রহ করেছেন, যা তাকে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের স্বীকৃতি এনে দিয়েছে।  

রেইঙ্কেমেয়ার যখন শহরের বাইরে ছিলেন, তখন তার মেয়ে সেলিয়া এবং জামাতা ড্যান বিসেট তার টুলসার ‘ব্রিক বার্ন বা ইটের গুদামে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে প্রতিটি ইট গণনা ও নথিভুক্ত করেন।  

ফিরে এসে তিনি চমকে যান, যখন তাকে জানানো হয় যে তার সংগ্রহটি বিশ্বের বৃহত্তম স্বীকৃত ইট সংগ্রহ হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পেয়েছে।  

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসকে তিনি বলেন, ‘আমি শহরে ফিরে এসে বড় চমক পেয়েছি এবং এই সার্টিফিকেট পেয়ে খুব খুশি’।

৪০ বছর ধরে ধীরে ধীরে গড়ে ওঠা তার সংগ্রহে সবচেয়ে পুরনো ইটটি হলো একটি রোমান ইট, যার ইতিহাস ১০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত বিস্তৃত। তবে বেশিরভাগ ইট গত কয়েক শতাব্দীর পুরনো।  

তিনি বলেন, ‘প্রায় ১৮৭০ থেকে ১৯১০ সালের মধ্যে ইট তৈরির একটি বিশেষ সময় ছিল। তখন বিশেষ ধরনের কাদামাটি দিয়ে তাপ সহনশীল ইট তৈরি হতো, যা প্রতিটি বাড়িতে চুলার জন্য প্রয়োজন ছিল’।

রেইঙ্কেমেয়ারের সংগ্রহের অন্যতম মূল্যবান ইটগুলোর মধ্যে রয়েছে ভুল বানানের ইট। যেমন, একটি ইটে ‘Tulsa’ লেখা আছে, যেখানে ‘s’ উল্টো দিকে রয়েছে।  

তিনি মজা করে বলেন, ‘ওকলাহোমা সম্ভবত সবচেয়ে বেশি ভুল বানানের ইটের জন্য বিখ্যাত। কেন, তা আমি জানি না।

তার প্রিয় সংগ্রহগুলোর মধ্যে রয়েছে একটি ফুটপাতের ইট, যা তৈরি হয়েছিল সেই ওয়াশিংটনের কারখানায়, যেখানে বর্তমানে পেন্টাগন ভবন দাঁড়িয়ে আছে।  

তিনি বলেন, ‘সম্ভবত পেন্টাগনের নিচে এখনো এ ধরনের কিছু ইট আছে, কিন্তু আমার মনে হয়, এটি একটিই রয়েছে’।  

রেইঙ্কেমেয়ার জানান, ‘ইটের প্রতি তার আগ্রহ মূলত এর ঐতিহাসিক মূল্য থেকেই এসেছে’।  

তিনি বলেন, ‘ইটের উপর নাম লেখা থাকে, যা ইতিহাসের সঙ্গে সংযুক্ত করা যায়। এটি আমাকে সবসময় মুগ্ধ করেছে। এটি অদ্ভুত মনে হতে পারে, কিন্তু আমি এটিকে ভালোবাসি’।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম