দক্ষিণ লেবাননের সীমান্ত গ্রামগুলো থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩৬ পিএম

দক্ষিণ লেবাননের সীমান্ত গ্রামগুলো থেকে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) মঙ্গলবার সকালে সেনা প্রত্যাহার করেছে, তবে তারা এখনও পাঁচটি কৌশলগত অবস্থানে রয়েছে। হিজবুল্লাহর সঙ্গে করা যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী প্রত্যাহারের সময়সীমা শেষ হওয়ার এক ঘণ্টা আগেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
আইডিএফ আনুষ্ঠানিকভাবে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত না করলেও, উভয় পক্ষের পর্যবেক্ষকদের বরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
একজন লেবানিজ নিরাপত্তা সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, ইসরাইলি বাহিনী সীমান্তের সব গ্রাম থেকে প্রত্যাহার করেছে, তবে পাঁচটি স্থানে এখনো অবস্থান করছে। লেবাননের সেনাবাহিনী ধীরে ধীরে এলাকাগুলোতে মোতায়েন হচ্ছে, কারণ কিছু এলাকায় বিস্ফোরক রয়েছে এবং সড়ক অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে লেবাননের সশস্ত্র বাহিনী (এলএএফ) জানিয়েছে, আইডিএফের প্রত্যাহারের পর রাতভর দক্ষিণ লেবাননের বেশ কয়েকটি গ্রাম ও শহরে তারা মোতায়েন হয়েছে।
লেবানন সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা আব্বাসিয়েহ, মাজিদিয়েহ, কাফর কিলা, মারজায়ুন, ওদাইসেহ, মার্কাবা, হুলা, মাইস আল-জাবাল, ব্লিদা, মাহবিব, মারুন আল-রাস, ইয়ারুন, বিনত জবাইল এবং সীমান্তবর্তী আরও কয়েকটি স্থানে মোতায়েন হয়েছে।
এই মোতায়েন মার্কিন নেতৃত্বাধীন একটি কমিটির তত্ত্বাবধানে এবং জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক বাহিনী ইউনিফিলের সঙ্গে সমন্বয় করে করা হয়েছে বলে লেবানন সেনাবাহিনী জানিয়েছে।
এদিকে, ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, আইডিএফ লেবাননে পাঁচটি কৌশলগত পোস্টে অবস্থান করবে এবং হিজবুল্লাহর যেকোনো লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। যুদ্ধবিরতির শর্ত কঠোরভাবে এবং আপসহীনভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।
২৬ জানুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে আইডিএফ লেবাননের দক্ষিণে অবস্থান করেছিল। এই সময়ে, ইসরাইলি বাহিনী বেশ কয়েকটি সীমান্ত গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে এবং কিছু এলাকায় প্রতিরক্ষা অবস্থান শক্তিশালী করে। তবে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর, কূটনৈতিক চাপে তারা অবশেষে অধিকৃত অঞ্চল থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়।