ট্রাম্পের দূত: গাজা যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ ‘অবশ্যই’ শুরু হবে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩২ এএম

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ রোববার জানিয়েছেন, ইসরাইল-হামাস যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা কিছু জটিলতার সম্মুখীন হলেও এটি ‘অবশ্যই শুরু হতে যাচ্ছে’ এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এটি বাস্তবায়ন দেখতে চান।
ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উইটকফ জানান, তিনি ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ আল থানি এবং মিশরের গোয়েন্দা প্রধান হাসান রাশাদের সঙ্গে ‘অত্যন্ত ফলপ্রসূ ও গঠনমূলক’ ফোনালাপ করেছেন। আলোচনায় দ্বিতীয় ধাপের সময়কাল, উভয় পক্ষের অবস্থান এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় ধাপ একটু বেশি জটিল, কারণ এটি যুদ্ধের অবসান ঘটানোর পাশাপাশি গাজায় হামাসের ক্ষমতা বিলুপ্ত করার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করে।’
যদিও চুক্তিতে হামাসকে ক্ষমতা থেকে সরানোর কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ নেই, তবুও ট্রাম্প প্রশাসন এবং ইসরাইল এমন পরিণতি মেনে নেবে না বলে জানিয়েছে।
উইটকফ জানান, দ্বিতীয় ধাপে ১৯ জন আইডিএফ (ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী) সেনাকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং তারা সবাই জীবিত বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ইসরাইলি সূত্র বলছে, হামাসের হাতে ১০ জনের কম সেনা জীবিত রয়েছে, এবং বাকি যাদের কথা বলা হচ্ছে তারা বেসামরিক নাগরিক।
তিনি আরও বলেন, ‘হামাস গত সপ্তাহে হুমকি দিয়েছিল যে তারা আর কোনো জিম্মি মুক্তি দেবে না, কিন্তু তারা শেষ পর্যন্ত পিছু হটেছে এবং মুক্তি দিয়েছে। আমরা আশা করি এই প্রক্রিয়া আগামী দিনগুলোতে অব্যাহত থাকবে।’
ট্রাম্পের গাজা দখলের পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে উইটকফ বলেন, ‘নতুন ধারণা নিয়ে আসলে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়, তবে এটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা উসকে দিয়েছে। এখন মিশর ও জর্ডান নিজেদের পরিকল্পনার কথা বলছে, যা ইতিবাচক।’
তিনি বলেন, ‘ট্রাম্পের মূল লক্ষ্য হলো গাজার প্রায় ২০ লাখ জনগণের পুনর্বাসনের উপযুক্ত স্থান নির্ধারণ করা। সম্ভাব্য বিকল্পের মধ্যে মিশর ও জর্ডানের পাশাপাশি আরও কিছু দেশ রয়েছে, যারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করে মানবিক প্রচেষ্টায় অংশ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।’
উইটকফ অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর নাম প্রকাশ করেননি। তবে মিশর ও জর্ডান ইতোমধ্যেই গাজাবাসীদের স্থানান্তরের যেকোনো পরিকল্পনা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে।