Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

আনন্দ-অশ্রুসিক্ত বাবা অবশেষে জানলেন শিশুকন্যার নাম, বললেন...

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০০ পিএম

আনন্দ-অশ্রুসিক্ত বাবা অবশেষে জানলেন শিশুকন্যার নাম, বললেন...

১৬ মাস পর অবশেষে মিলল মুক্তির স্বাদ। মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস, অশ্রুসিক্ত চোখ ও উষ্ণ আলিঙ্গনের মাঝেই অবশেষে নিজের কনিষ্ঠ কন্যার নাম জানতে পারলেন মুক্তি পাওয়া ইসরাইলি-আমেরিকান বন্দি সাগুই ডেকেল-চেন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের অভিযানে হামাস তাকে অপহরণ করার দুই মাস পর জন্ম হয় শিশুটির। 

এ নিয়ে রোববার ইসরাইলি সরকারের প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, দীর্ঘ ১৬ মাস পর স্বামীকে ফিরে পেয়ে স্ত্রী আবিতাল আবেগে কেঁদে ফেলেন এবং জানান, তাদের কন্যার নাম রাখা হয়েছে ‘শাহার মাজাল’—যার অর্থ ‘সৌভাগ্যের ভোর’।

৩৬ বছর বয়সি সাগুই মুহূর্তেই নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, ‘একদম পারফেক্ট’। 

শনিবার দক্ষিণ ইসরাইলের একটি সামরিক ঘাঁটিতে এই দম্পতির পুনর্মিলন হয়। যেখানে সাগুই ডেকেল-চেনের সঙ্গে আরও দুই বন্দি—২৯ বছর বয়সি ইসরাইলি-রুশ নাগরিক সাশা ট্রুপানোভ এবং ৪৬ বছর বয়সি ইসরাইলি-আর্জেন্টাইন নাগরিক ইয়াইর হর্ন মুক্তি পান। 

এদিন গাজা যুদ্ধবিরতির ষষ্ঠ বন্দি-বিনিময় প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে মুক্তি পান তারা। এ তিনজনই ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের অভিযানে গাজা সীমান্তের কাছে কিবুতজ সম্প্রদায়ের নির ওজ নামক জায়গা থেকে অপহৃত হন।

‘আমাদের সাগুই ঘরে ফিরেছে’—ডেকেল-চেনের পরিবারের পক্ষ থেকে জিম্মি ও নিখোঁজদের পরিবারগুলোর জন্য কাজ করা ইসরাইলি ফোরামের মাধ্যমে এমনই এক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, ‘একজন বন্ধু, সন্তান, সঙ্গী এবং সর্বোপরি একজন বাবা অবশেষে ফিরে এসেছেন’।

‘প্রায় ৫০০ দিন বন্দি থাকার পর অবশেষে তিনি ইসরাইলের মাটিতে ফিরে এসেছেন, আমাদের সঙ্গে আছেন,’ বিবৃতিতে যোগ করা হয়।

এতে আরও বলা হয়, আসন্ন ঘণ্টাগুলোতে তিনি তার পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু করবেন। বড় দুই মেয়ে গালি ও বার-এর সঙ্গে দেখা করবেন এবং প্রথমবারের মতো তার কনিষ্ঠ কন্যা শাহার মাজাল-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। যে শিশুটি তার বন্দি থাকার সময় জন্মগ্রহণ করেছিল।

বিবৃতিতে ফোরামটি জানায়, ‘শেষ বন্দিটি ঘরে ফেরার আগ পর্যন্ত আমরা আমাদের প্রচার চালিয়ে যাব’।

বন্দি বিনিময়ের প্রক্রিয়া

এদিকে এই তিন বন্দির বিনিময়ে ইসরাইল শনিবার ৩৬৯ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়। এদের অধিকাংশকেই গাজা থেকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে ইসরাইলি নাগরিকদের ওপর হামলার দায়ে যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয়।

এদিকে ইসরাইলি-রুশ নাগরিক সাশা ট্রুপানোভ মুক্তি পাওয়ার পর তার মা ও প্রেমিকা তাকে আলিঙ্গন করেন। এরপর তিনি তার দাদির সঙ্গেও পুনর্মিলিত হন।

ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম জানায়, ট্রুপানোভ তার মুক্তির পর জানতে পারেন যে, তার বাবা আর নেই। ২০২৩ সালের হামলার সময় তিনি নিহত হয়েছেন।

অন্যদিকে ইসরাইলি-আর্জেন্টাইন নাগরিক ইয়াইর হর্ন প্রথমে তার ভাই আমোস ও মায়ের সঙ্গে পুনর্মিলিত হন। এরপর তিনি তেলআবিবের ইচিলভ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার বাবাকে দেখতে যান। সেখানে তিনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এবং সদ্য কিডনি প্রতিস্থাপন করিয়েছেন।

ওই হাসপাতালে যাওয়ার পথে তাকে বহন করা হেলিকপ্টারটি তার প্রিয় হাপোয়েল বেয়ার শেভা ফুটবল ক্লাবের স্টেডিয়ামের ওপর দিয়ে উড়ে যায়।

এএফপি-র এক ফটোগ্রাফারের মতে, হর্ন হাসপাতালে পৌঁছানোর সময় তার ক্লাবের লাল জার্সি পরে ছিলেন। তবে তার ভাই এয়তান হর্ন এখনো গাজায় বন্দি রয়েছেন। সূত্র: এনডিটিভি

ঘটনাপ্রবাহ: হামাস ইসরাইল যুদ্ধ


আরও পড়ুন

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম