ক্রেমলিন
শান্তিই এখন মূল লক্ষ্য রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৯ পিএম

ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতার মসনদে বসার সঙ্গেই সঙ্গেই বন্ধ হয়েছে গাজা যুদ্ধ। এবার ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানে নানা তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে বিশ্ব নেতাদের। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে ফোনালাপও করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
দুই নেতার সেই ফোনালাপ নিয়ে রোববার ব্যাখ্যা তুলে ধরেছে ক্রেমলিন। জানিয়েছে, ভ্লাদিমির পুতিন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে ফোনালাপের মূল তাৎপর্য হলো- এখন রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ নয়, বরং শান্তি নিয়ে আলোচনা করবে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের প্রতিবেদক পাভেল জারুবিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘এটি একটি শক্তিশালী বার্তা যে, এখন আমরা সংলাপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করব। এখন আমরা যুদ্ধ নয়, শান্তি নিয়ে কথা বলব’।
পেসকভ আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে পুতিন ও ট্রাম্পের প্রথম বৈঠক বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
একই সঙ্গে তিনি জোর দিয়ে বলেন, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাগুলো রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। কারণ এগুলো যত দ্রুত আরোপ করা হয়েছে, তত দ্রুতই প্রত্যাহার করা যেতে পারে।
এর আগে, গত বুধবার এক ফোনালাপে পুতিনের সঙ্গে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে কথা বলেন ট্রাম্প। যেখানে রুশ নেতা ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
ট্রাম্প বলেন, পুতিন চান যুদ্ধ শেষ হোক। তিনি চান না যুদ্ধ শেষ হয়ে আবার ছয় মাস পর নতুন করে লড়াই শুরু হোক।
ট্রাম্প আরও বলেন, আমি মনে করি আমরা শান্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। পুতিন, জেলেনস্কি এবং আমি শান্তি চাই। আমি শুধু চাই মানুষ মারা না যাক।
ট্রাম্প এখন পর্যন্ত অনেকবার বলেছিলেন, তিনি ইউক্রেনের যুদ্ধ দ্রুত শেষ করবেন। তবে কিভাবে তা করবেন তা নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেননি।
ক্রেমলিন আগে জানিয়েছিল যে, পুতিন এবং ট্রাম্প একে অপরের সঙ্গে দেখা করার জন্য সম্মত হয়েছেন এবং পুতিন ট্রাম্পকে মস্কো সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তবে ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাদের প্রথম সাক্ষাৎ প্রত্যাশিতভাবে সৌদি আরবে হবে।
ট্রাম্প তার সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মে জানিয়েছেন, পররাষ্ট্র সচিব মার্কো রুবিও, সিআইএ পরিচালক জন র্যাটক্লিফ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ওয়াল্টজ এবং মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফকে যুদ্ধ শেষ করতে আলোচনার নেতৃত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
যদিও এখন পর্যন্ত ইউক্রেনে শান্তি আলোচনা শুরু হয়নি এবং যুদ্ধের শুরু থেকেই ট্রাম্পের পূর্বসূরি জো বাইডেন ইউক্রেনকে কোটি কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়েছেন।
এদিকে চলমান যুদ্ধে রাশিয়া বর্তমানে ইউক্রেনের এক পঞ্চমাংশ দখল করে রেখেছে এবং কিয়েভের কাছে আরও অঞ্চল ছাড় দেওয়ার দাবি করছে। একই সঙ্গে তারা চাইছে যে, যেকোনো শান্তিচুক্তির অধীনে ইউক্রেন চিরকালের জন্য নিরপেক্ষ হয়ে থাকুক।
তবে ইউক্রেন দাবি করেছে, রাশিয়া দখলকৃত অঞ্চল থেকে ফিরে যাক এবং ইউক্রেনকে ন্যাটো সদস্যপদ বা সমমানের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। যাতে রাশিয়া ভবিষ্যতে আবার আক্রমণ করতে না পারে। সূত্র: মেহের নিউজ ও রয়টার্স