মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম সফরে ইসরাইলে পৌঁছেছেন মার্কো রুবিও

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:২০ এএম

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও শনিবার রাতে ইসরাইলে পৌঁছেছেন, যা মধ্যপ্রাচ্যে তার প্রথম সফর। এএফপির এক সাংবাদিক এ তথ্য জানিয়েছেন।
টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে, রুবিও তেল আবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। আজ রোববার এই মার্কিন শীর্ষকর্তা জেরুজালেমে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত প্রস্তাবের বিষয়ে আলোচনা করবেন, যেখানে তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।
রুবিও এর আগে মিউনিখে ছিলেন, যেখানে তিনি ইউক্রেন যুদ্ধকেন্দ্রিক একটি নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশ নেন।
সম্প্রতি ওয়াশিংটন সফরকালে নেতানিয়াহু ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং গাজা নিয়ে ইসরাইলের পরবর্তী পদক্ষেপে মার্কিন প্রেসিডেন্টের পূর্ণ সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ট্রাম্প শনিবার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে লিখেন, এখন ইসরাইলকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কী করবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের নেওয়া সিদ্ধান্তকে সমর্থন করবে!
রুবিওর ইসরাইল সফর এমন সময়ে এলো যখন হামাস গাজা থেকে তিন ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে, যা প্রায় এক মাসের যুদ্ধবিরতির আওতায় হওয়া ষষ্ঠ বন্দি বিনিময় চুক্তির অংশ। এর বিনিময়ে শত শত ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
সপ্তাহের শুরুতে যুদ্ধবিরতি ভেস্তে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। তবে নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কঠোর অবস্থান নিশ্চিত করেছে শনিবারের জিম্মি মুক্তি চুক্তি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
রুবিওর বৈঠকে যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যার আওতায় বাকি জিম্মিদের মুক্তি এবং যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তির পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক সূত্র জানিয়েছে, মধ্যস্থতাকারীরা আগামী সপ্তাহে দোহায় দ্বিতীয় ধাপের আলোচনার সূচনা করতে চান।
ট্রাম্প গাজার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন এবং এর বাসিন্দাদের মিশর বা জর্ডানে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। তবে সব আরব দেশ এই প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করছে।
মিশর ও জর্ডান ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ করতে না চাইলে তাদের জন্য পরিণতি হবে বলে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার রুবিও বলেন, এখন পর্যন্ত একমাত্র পরিকল্পনা ট্রাম্পের পরিকল্পনা—তারা এটি পছন্দ করুক বা না করুক। কিন্তু যদি তাদের কাছে আরও ভালো কোনো পরিকল্পনা থাকে, তাহলে এখনই তা উপস্থাপন করার সময়।
রুবিও ইসরাইল সফর শেষ করে সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাবেন।
সোমবার তার সৌদি আরব সফরের আলোচনা কঠিন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, কারণ রিয়াদ ট্রাম্পের আঞ্চলিক পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তবে সৌদি আরব কয়েক দফা দৃঢ়ভাবে বলেছে, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্টা ছাড়া তারা কোনো আলােচনা মেনে নিবে না।