ভারতের কারাগারে বদলে গেল ‘ব্রিটিশ নিয়ম’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৫৬ এএম

ছবি: সংগৃহীত
ব্রিটিশ আমলে যারা বন্দি হতেন, তাদের বর্ণ বিচার করে কাজ দেওয়া হতো। যারা উচ্চবর্ণের তাদের দিয়ে করানো হতো চুল কাটা, নখ কাটানোর মতো কাজ। নিচুবর্ণের লোকেদের বরাদ্ধ ছিল ছাফাইকাজ। সেই প্রথা ভেঙে বেরিয়ে এসেছে ভারত। এখন থেকে কারাবন্দির ইচ্ছে অনুয়ায়ী কাজ তিনি করতে পারবেন, এক্ষেত্রে জাতপাত এবং ধর্ম বিচার করা হবে না।
দেশটির সুপ্রিম কোর্টের কারাগারের এই অসাংবিধানিক ‘বর্ণাশ্রম’ প্রথা বাতিল করেছে। একই সঙ্গে রাজ্য কারা দপ্তরগুলোকেও বৈষম্যমূলক বিধি বাদ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
কারা আইন ১৮৯৪-এর উপর ভিত্তি করে ব্রিটিশ আমলে তৈরি হয়েছিল কারা-বিধি। সেখানে বলা ছিল, যোগ্য বর্ণের বন্দিরাই খাবার রান্না ও পরিবেশন করতে পারবেন। ক্ষৌরকর্ম মানে নখ বা চুল কাটার মতো কাজ করতেন ‘উচ্চবর্ণের’ বন্দিরা। নিম্নবর্গীয়দের জন্য বরাদ্দ ছিল সাফাইকাজ। এসব বিধি এখন আর মানা হবে না।
জার্মানভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ডয়েচে ভেলেকে জানিয়েছে, বাতিল হওয়া বিধিনিষেধের মাঝে আছে রুল ৭৪১। বাতিল হয়েছে রুল ৭৯৩, যাতে বলা হয়েছে, উচ্চবর্ণের বন্দিরাই করবেন ক্ষৌরকর্মের কাজ। সাফাইকর্মী হবেন নিচু জাতের বন্দিরা।
মেদিনীপুর সংশোধনাগারের প্রশাসনিক বিভাগের সাবেক ডিআইজি অরিন্দম সরকার বলেছেন, ‘এই বিধি অনেক পুরনো। স্বাধীনতার আগের। যে বর্ণাশ্রমের কথা লেখা ছিল তা ব্রিটিশ আমলেই পালন করা হতো। উঁচুনিচু জাতের বিভাজন তো দেখাই যায় না। আমাদের সংশোধনাগারে ধর্মের বিভাজনও নেই বললেই চলে। হিন্দু অনুষ্ঠানে মুসলমান বন্দিদের পাওয়া যায়। ইদের মতো অনুষ্ঠানে হিন্দুরা উপস্থিত থাকেন।’