যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার আহ্বানকে ‘অবিবেচনাপ্রসূত ও নিষ্ফল’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। বলেছেন, এই আলোচনা ইরানের সমস্যা সমাধানে কোনো ভূমিকা রাখবে না।

পাশাপাশি তিনি ওয়াশিংটনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি ইরানি জাতির নিরাপত্তা লঙ্ঘন করে, তাহলে ইরান পাল্টা জবাব দিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা না করব না’।

শুক্রবার ইরানের বিমান বাহিনী ও বিমান প্রতিরক্ষা বিভাগের কমান্ডারদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। 

ঐতিহাসিকভাবে ১৯৭৯ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিমান বাহিনীর কমান্ডাররা ইমাম খোমেনির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দেশটির বিপ্লবের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছিলেন। সেই দিনটি উপলক্ষ্যে এদিন তেহরানে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকের শুরুতে আয়াতুল্লাহ খামেনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনাকে ইরানি জাতির স্বার্থের পরিপন্থি বলে অভিহিত করেন।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা দেশের সমস্যাগুলোর কোনো সমাধান করবে না। আমাদের এটি সঠিকভাবে বুঝতে হবে। আমাদের মনে করা উচিত নয় যে, আমরা যদি ওই সরকারের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসি, তাহলেই বুঝি ওইসব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। না, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা কোনো সমস্যার সমাধান করবে না।

খামেনি উল্লেখ করেন, ‘অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে ইরান বুঝতে পেরেছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়’।

পূর্বের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ‘ইরান কয়েক বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করেছিল এবং একটি চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু আমেরিকানরা সেটি ছিঁড়ে ফেলে। আমরা অনেক ছাড় দিয়েছিলাম কিন্তু তারা তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি’।

আয়াতুল্লাহ খামেনি জোর দিয়ে বলেন, ‍‘সব সমস্যার সমাধান দেশের অভ্যন্তরেই রয়েছে এবং দেশীয় সম্পদের ওপর নির্ভর করেই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব’।

এ সময় তিনি ওয়াশিংটনকে সতর্ক করে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি ইরানি জাতির নিরাপত্তা লঙ্ঘন করে, তাহলে আমরাও বিন্দুমাত্র দ্বিধা না করে পাল্টা জবাব দেব’।

এর আগে বৈঠকের শুরুতে ইরানের বিমান বাহিনীর কমান্ডার বাহেদি সর্বোচ্চ নেতার কাছে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন এবং জানান যে, ‘আমরা ১০০ ভাগ আত্মনির্ভরশীলতা অর্জন করেছি এবং ‍সর্বাত্মক প্রতিরক্ষার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত’। সূত্র: মেহের নিউজ