২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তাইয়েবা ভারতের মুম্বাই প্রদেশের ১২টি জায়গায় হামলা চালায়। এতে ৬ মার্কিন নাগরিকসহ ১৮০ জন সাধারণ মানুষ নিহত ও কয়েকশত মানুষ আহত হন।
যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএইডের বিরুদ্ধে এই জঙ্গি সংগঠনের ছায়া দাতব্য সংস্থা ফালাহে ইনসানিয়্যাত ফাউন্ডেশনকে (এফআইএফ) সহায়তা করার অভিযোগ উঠেছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, আশ্চর্যের বিষয় হলো- এফআইএফ লস্কর-ই-তাইয়েবার ছায়া সংগঠন প্রমাণিত হওয়ার পরও ইউএসএইড এই সংস্থাকে সহায়তা করেছিল।
সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে ইউএসএইডের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সহায়তা বন্ধ করা হয়। তখন এই অভিযোগ আবার নতুন করে প্রকাশ্যে আসে।
ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার আগ পর্যন্ত ইউএসএইড দাতব্য সংস্থা ফালাহে ইনসানিয়্যাত ফাউন্ডেশনকে সহায়তা করে আসছিল বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইউএসএইড মিশিগান ভিত্তিক মুসলিম দাতব্য সংস্থা ‘হেল্পিং হ্যান্ড ফর রিলিফ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এইচএইচআরডি) মাধ্যমে এফআইএফকে সহায়তা করত। এই সংস্থাটির বিরুদ্ধেও ২০১৯ বা তার আগেও বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনকে সহায়তা করার অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএইড) বছরের পর বছর ধরে ‘হাস্যকর’ প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে, এমন দাবি করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন।
প্রশাসন বুধবার প্রকাশিত নথির বরাত দিয়ে জানায়, মার্কিন বৈদেশিক সাহায্যের অর্থ অনেক ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় বা বিতর্কিত প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, প্রকাশিত নথি অনুসারে, ইউএসএইড ইসরাইলে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সমাধানের জন্য ৫ লাখ ডলার বরাদ্দ করেছিল যা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার মাত্র ১০ দিন আগে দেওয়া হয়। সেই হামলায় অন্তত ১,২০০ জন নিহত হয়েছিল।
এছাড়া ইউএসএইড ইকোহেলথ অ্যালায়েন্স নামক এনজিওকে ৫ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে, যা উহান ল্যাবে বাদুড়ের ভাইরাস গবেষণার জন্য অর্থায়ন করেছিল।
ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করেছে, ইউএসএইড’র তহবিলের মাধ্যমে কমপক্ষে ১০ মিলিয়ন ডলারের খাবার আল কায়েদা-সংযুক্ত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর কাছে পৌঁছেছে। এছাড়া, সংস্থাটি বিভিন্ন দেশে এলজিবিটি সম্প্রদায়ের কর্মকাণ্ডের জন্য লক্ষাধিক ডলার বরাদ্দ করেছে, যা ট্রাম্প প্রশাসন বাতিল করতে চায়।