ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা ইতিহাস বদলে দিতে পারে: নেতানিয়াহু
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৭ এএম
![ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা ইতিহাস বদলে দিতে পারে: নেতানিয়াহু](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2025/02/05/ezgif-5084022736ce0-67a2e1c54b6fe.jpg)
মঙ্গলবার যৌথ সম্মেলনে ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু। ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ গ্রহণের পর প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে ওয়াশিংটন সফরে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। মঙ্গলবার যৌথ সম্মেলনে গাজা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি, যুক্তরাষ্ট্র গাজা ‘দখল’ করবে এবং এটি পুনর্গঠন করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বিশ্ববাসীর জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
ট্রাম্পের এই পরিকল্পনা ইতিহাস বদলে দিতে পারে পারে বলে মন্তব্য করেছেন নেতানিয়াহু। দীর্ঘদিন ধরেই নেতানিয়াহুর চাওয়া, গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে ইসরাইলের আগ্রাসন অব্যাহত রাখা।
সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহুকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ট্রাম্পের গাজা দখলের পরিকল্পনাকে তিনি কি ইসরাইলের সীমানা সম্প্রসারণের সুযোগ হিসেবে দেখছেন?
উত্তরে নেতানিয়াহু বলেন, তার অন্যতম যুদ্ধ লক্ষ্য হলো, গাজা যেন আর কখনো ইসরাইলের জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে না পারে।
কিন্তু ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এটিকে আরও বড় পরিসরে নিয়ে যাচ্ছেন, তিনি এই ভূমির জন্য এক ভিন্ন ভবিষ্যৎ দেখছেন, যা এতদিন সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রবিন্দু ছিল এবং আমাদের ওপর বহু হামলার উৎস হয়েছে… তার দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা।’
‘আমি মনে করি, এটি মনোযোগ দেওয়ার মতো একটি বিষয়,’ তিনি যোগ করেন।
নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা এ নিয়ে আলোচনা করছি। তিনি তার প্রশাসনের সঙ্গে এটি পরীক্ষা করছেন। আমি মনে করি, এটি ইতিহাস বদলে দিতে পারে, এবং এই পথটি অনুসরণ করাই যৌক্তিক।’
হামাস, সৌদি আরব প্রসঙ্গ
নেতানিয়াহু বলেন, চলমান ‘অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির’ সময় এক হামাস নেতা বলেছেন যে, গোষ্ঠীটি আবারও ৭ অক্টোবরের মতো হামলা চালাতে চায়, তবে এবার আরও বড় আকারে।
তার মতে, ‘যদি হামাসকে টিকিয়ে রাখা হয়, তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে কখনোই শান্তি আসবে না, যেমনটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নাৎসি জার্মানি ও তার বাহিনীকে রেখে ইউরোপে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যেত না। আপনি যদি ভিন্ন ভবিষ্যৎ চান, তাহলে তাদের ধ্বংস করতে হবে, যারা আপনাকে এবং শান্তিকে ধ্বংস করতে চায়। আমরা সেটাই করব।’
নেতানিয়াহু দাবি করেন, হামাসের পতনই সৌদি আরবসহ অন্য দেশগুলোর সঙ্গে শান্তি চুক্তির পথ সুগম করবে।
ইরান নিয়ে নেতানিয়াহু-ট্রাম্পের অবস্থান
নেতানিয়াহু বলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সেই ঘোষণার পূর্ণ সমর্থন করেন ইরান কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে পুরোপুরি একমত’।
‘যদি এই লক্ষ্য ‘সর্বোচ্চ চাপ’ নীতির মাধ্যমে অর্জন করা যায়, তাহলে সেটাই হোক।”
ট্রাম্প এ সময় আলোচনায় যোগ দেন এবং বলেন, নেতানিয়াহু এমন কিছু করতে চান না যা অনেকের ধারণা অনুসারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঘটতে পারে, কারণ ‘ইরানি শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা করা অত্যন্ত কঠিন, যেমনটি আপনারা জানেন।’
তিনি যোগ করেন, ‘যদি যুদ্ধ ছাড়া, গত কয়েক বছরে আপনারা যা দেখেছেন তার পুনরাবৃত্তি ছাড়া এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়, তাহলে তা হবে এক বিশাল অর্জন।’
ইসরাইলের সম্ভাব্য ইরান হামলায় যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন দেবে কিনা, এ প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা দেখব কী ঘটে।’