Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

হার্ভার্ডের ২৩ % এমবিএ বেকার, দাম নেই ওয়ার্টন ও স্ট্যানফোর্ড ডিগ্রিরও

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৪৩ পিএম

হার্ভার্ডের ২৩ % এমবিএ বেকার, দাম নেই ওয়ার্টন ও স্ট্যানফোর্ড ডিগ্রিরও

বেকারত্বের সমস্যায় ভুগছেন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দারাও। দেশটিতে এমবিএ পাস করা শিক্ষার্থীদের কাজ পেতে রীতিমতো কাঠগোড় পোড়াতে হচ্ছে বলে প্রকাশ্যে এসেছে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট।    

সম্প্রতি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিপোর্টে বলা হয়েছে— হার্ভার্ড, স্ট্যানফোর্ড এবং ওয়ার্টনের মতো আইভি লিগ কলেজ থেকে ডিগ্রি অর্জন করার পরও অনেকে চাকরির জন্যে হন্যে হয়ে ঘুরছে। ভূগছেন বেকারত্বের অভিশাপে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত বছর হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের এমবিএ স্নাতকদের ২৩ শতাংশ পড়াশোনা শেষ করার তিন মাস পরেও চাকরি পাননি। ২০২২ সালে এই সংখ্যাটি ছিল ১০ শতাংশ। কিন্তু ২০২৩ সালে এক লাফে সেটি বেড়ে ২০ শতাংশে গিয়ে পৌঁছায়।

গত কয়েক বছরে ভারতের আইআইটি স্নাতকদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেড়েছে। এ দেশের পরিস্থিতির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ মিল আছে। বিশ্বের বেকারত্ব নিয়ে একটি সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন বা আইএলও)। 

গ্লোবাল এমপ্লয়মেন্ট ট্রেন্ডস ফর ইয়ুথ ২০২৪’ শীর্ষক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে সারা বিশ্বে তরুণ শ্রমশক্তির ১৩ শতাংশ কোনো কাজ পাননি। অর্থাৎ, বিশ্বজুড়ে মোট বেকার যুবক-যুবতীর সংখ্যা ছিল ৬.৪৯ কোটি।

২০২০ সালের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের রিপোর্ট অনুসারে, চারজন পেশাদারের মধ্যে একজনই চাকরি পেয়েছে এবং তারপর থেকে পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি। বিষয়টি নিয়ে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের কাছে জানিয়েছেন হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের কেরিয়ার ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড অ্যালামনি রিলেশনসের অধ্যক্ষ ক্রিস্টেন ফিটজপ্যাট্রিক। তিনি বলছেন, ‘চাকরির বাজার যে খুব ভালো, তা একেবারেই বলা যাবে না। সঠিক দক্ষতা থাকলেই যে কাজ পাওয়া যাচ্ছে, এমনটা নয়। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে হার্ভার্ডের শিক্ষার্থীদের অনেক কোম্পানিই আর আলাদা নজরে দেখছে না।’

ওয়ার্টন এবং স্ট্যানফোর্ডের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করা চাকরি না পাওয়া এমবিএ পড়ুয়ার সংখ্যা যথাক্রমে ২০ এবং ২২ শতাংশ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। এ ছাড়া নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টার্ন স্কুল অব বিজনেসের স্নাতকদের মধ্যে প্লেসমেন্টের সংখ্যা ক্রমশ কমছে বলে জানা গেছে।

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম