ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তরে ‘গাজা খালি’ করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছে মিশর ও আরব লীগ। 

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল।

শনিবার এয়ারফোর্স ওয়ান উড়োজাহাজে বসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আপনারা সম্ভবত ১৫ লাখ মানুষের কথা বলছেন এবং আমরা পুরো জায়গাটিই খালি করে ফেলব।’

কায়রোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ‘ফিলিস্তিনি জনগণের তাদের ভূমিতে বসবাসের প্রতি অবিচল সমর্থন’ পুনর্ব্যক্ত করেছে। 

মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা ‘অবিচ্ছেদ্য অধিকারগুলোর প্রতি কোনো হস্তক্ষেপ’ মেনে নেবে না, যা জমি দখল, সংযুক্তকরণ বা স্থানান্তরের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের ভূমি থেকে উৎখাত করা, তা যতই অস্থায়ী বা দীর্ঘমেয়াদী হোক না কেন।

যুদ্ধের ১৫ মাস পর, ট্রাম্প বলেছেন গাজা এখন ‘ধ্বংসস্তূপে’ পরিণত হয়েছে এবং তিনি চান মিশর ও জর্ডান গাজার বাসিন্দাদের সেখানে স্থানান্তর করুক। তিনি বলেছেন, এটি ‘অস্থায়ী বা দীর্ঘমেয়াদীভাবে’ হতে পারে।

আরব লীগ কায়রোর বক্তব্য পুনরায় শেয়ার করে বলেছে, ‘ফিলিস্তিনিদের তাদের ভূমি থেকে জোরপূর্বক স্থানান্তর ও উৎখাত শুধুমাত্র জাতিগত নিধন বলে আখ্যায়িত করা যেতে পারে।’ 

আঞ্চলিক সংগঠনটি আরও বলেছে, ‘ফিলিস্তিনি জনগণকে তাদের ভূমি থেকে উৎখাত করার প্রচেষ্টা, সেটা স্থানান্তর, সংযুক্তকরণ বা বসতি স্থাপনের মাধ্যমে হোক, অতীতে বারবার ব্যর্থ হয়েছে।’

মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি সতর্ক করে বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তরিত করার চেষ্টা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যকে মুছে ফেলার একটি প্রচেষ্টা হবে। 

সিসি এটিকে একটি ‘লাল রেখা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যা মিশরের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে।

মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান’ বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে বলেছে, ফিলিস্তিনিরা তাদের ভূখণ্ড থেকে চলে গেলে এই সমাধান সম্ভব হবে না।

অন্যদিকে জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করার বিষয়টি আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করি এবং তা অটল থাকবে। জর্ডান জর্ডানের মানুষদের আর ফিলিস্তিন ফিলিস্তিনি মানুষদের জন্য’।