সুদানে ড্রোন হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৪ এএম

ফাইল ছবি।
সুদানের দারফুর অঞ্চলের এল-ফাশারে একটি হাসপাতালে ভয়াবহ ড্রোন হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া শুক্রবারের (২৪ জানুয়ারি) এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি বলছে, শুক্রবারের হামলায় ৬৭ জন নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় কর্মী এবং একটি চিকিৎসা সূত্র শনিবার (২৫ জানুয়ারি) জানিয়েছে। মূলত সুদানের দারফুর অঞ্চলের এল-ফাশারের সর্বশেষ যে কয়েকটি হাসপাতাল কার্যকর রয়েছে তার একটিতেই এই ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, ‘ড্রোন হামলায় আহতদের মধ্যে আজ আরও ৩৭ জন মারা গেছেন, যার ফলে নিহতের সংখ্যা ৬৭ জনে পৌঁছেছে। ’ প্রাথমিকভাবে ৩০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল।
আঞ্চলিক গভর্নর মিনি মিনাউই শনিবার মৃতদেহের কয়েকটি গ্রাফিক চিত্র তার এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে লিখেছেন, এই হামলায় নারী ও শিশুসহ ৭০ জনেরও বেশি রোগীকে ‘মেরে ফেলা’ হয়েছে।
২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদানের সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে যুদ্ধ চলছে। আরএসএফ বিস্তীর্ণ পশ্চিমাঞ্চলীয় দারফুরের প্রায় পুরোটা দখল করেছে এবং মে মাস থেকে এল-ফাশার শহরটি অবরোধ করে রেখেছে। তবে শহরটি এখনো তারা দখল করতে পারেনি। কারণ সেনাবাহিনী সমর্থিত মিলিশিয়ারা তাদের বারবার প্রতিহত করছে।
চিকিৎসা সূত্র জানিয়েছে, কয়েক সপ্তাহ আগে একই ভবনটি আরএসএফের একটি ড্রোন হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছিল। এল-ফাশারে স্বাস্থ্যসেবার ওপর হামলা একটি স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
চিকিৎসাবিষয়ক সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স চলাতি মাসে জানিয়েছে, ওই হাসপাতালটিই শহরের একমাত্র সরকারি হাসপাতাল, যেখানে অস্ত্রোপচারের সুযোগ রয়েছে। এছাড়া সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশজুড়ে ৮০ শতাংশের বেশি স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে।
দেশটিতে এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। এক কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছে। এল-ফাশার অঞ্চলের আশপাশে তিনটি শরণার্থী শিবিরে—জামজাম, আবু শউক ও আল-সালামে ইতিমধ্যে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে।