মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্য
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করাই ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৭ পিএম
শপথ গ্রহণের পর থেকে একের পর এক নতুন নীতি আর চ্যালেঞ্জ নিয়ে হাজির হচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গাজায় যুদ্ধবিরতির পর তার সামনে এবার বড় চ্যালেঞ্জ ইউক্রেন যুদ্ধ থামানো। তবে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাও বেশ ভালোভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছেন ট্রাম্প।
ইতিমধ্যেই তার প্রশাসন এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির একটি নথি তৈরি করেছে বলে জানিয়েছেন নতুন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। মঙ্গলবার এনবিসির টুডে অনুষ্ঠানে রুবিও বলেছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের আনুষ্ঠানিক নীতি হবে এই যুদ্ধ বন্ধ করা। বুধবার এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রুবিও আরও বলেছেন, এই সংঘাতের অবসান ঘটাতে মস্কো এবং কিয়েভ উভয়কেই কিছু ছাড় দিতে হবে। তিনি ইঙ্গিত দেন যে, ইউক্রেনকে রাশিয়া দখল করা সব অঞ্চল পুনরুদ্ধারের লক্ষ্য থেকে সরে আসতে হতে পারে। সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনকে বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র সহায়তা দিয়েছিলেন।
বাইডেন বলেছিলেন, রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনা কখন এবং কীভাবে হবে তা ইউক্রেনের ওপর নির্ভর করবে। অন্যদিকে, ট্রাম্প তার নির্বাচনি প্রচারণায় দ্রুত যুদ্ধ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। যদিও কীভাবে তা করবেন তা স্পষ্ট করেননি। রুবিও বলেছেন, এটি জটিল হবে। কারণ প্রত্যেক পক্ষকে কিছু না কিছু ছাড় দিতে হবে।
তিনি আরও বলেছেন, এ ধরনের সংঘাত কেবল কূটনৈতিক পথে শেষ হয়। যুক্তরাষ্ট্র এমন কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাবে যা ইউক্রেন ও আঞ্চলিক অংশীদারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং সংঘাতের ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করে।
হোয়াইট হাউজে শপথ নেওয়ার পর রুবিও বলেছেন, আমরা ট্রাম্প প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতি এমনভাবে পরিচালনা করব যা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থকে এগিয়ে নেবে। আমাদের আরেকটি লক্ষ্য হবে শান্তি প্রচার। অবশ্যই, শক্তির মাধ্যমে শান্তি, তবে কখনই আমাদের মূল্যবোধ বিসর্জন দিয়ে নয়। স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যায় মার্কো রুবিওর নিয়োগ মার্কিন সিনেটে সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয়।
এদিকে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ২ লাখ ইউরোপীয় শান্তিরক্ষীর প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর রাশিয়ার যে কোনো আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য এই পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে জানান তিনি। এরই মধ্যে শিগগিরই ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করার পরিকল্পনা করছেন জেলেনস্কি। মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে বক্তৃতাকালে ইউক্রেনীয় এই নেতা বলেছেন, কিয়েভ তার এবং ট্রাম্পের মধ্যে একটি বৈঠক আয়োজনের জন্য কাজ করছে।