সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল-সাউদ বলেছেন, ইরান এবং ইসরাইল র মধ্যে সম্ভাব্য যুদ্ধ এড়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এই ধরনের সংঘাত প্রতিরোধে সবাইকে উদ্যোগী হতে হবে।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে দ্য ডন।

প্রিন্স ফয়সাল আরও বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন প্রশাসন এই অঞ্চলে যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়াবে না। বরং, ট্রাম্প প্রশাসন সংঘাতের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি আশা করছেন তিনি।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রিন্স ফয়সাল আশা প্রকাশ করেছেন ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের ইরাননীতি গঠনমূলক হবে এবং তেহরান সেই নীতির প্রতি ইতিবাচক সাড়া দেবে। বিশেষ করে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সংলাপ চালানোর বিষয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে সহযোগিতার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘ইরান ও ইসরাইলর মধ্যে কোনো যুদ্ধ, অথবা আমাদের অঞ্চলের যেকোনো ধরনের যুদ্ধ, অবশ্যই এড়ানোর চেষ্টা করা উচিত’।

সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসন সরাসরি সংঘাতে আগ্রহী নয়। আমি মনে করি না নতুন মার্কিন প্রশাসন যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়াবে। বরং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্পষ্ট করে বলেছেন যে তিনি সংঘাত চান না’।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, প্রিন্স ফয়সালের এই মন্তব্য ইসরাইল-হামাস যুদ্ধবিরতি এবং মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংকট মোকাবেলায় সৌদি আরবের কূটনৈতিক অবস্থান তুলে ধরে।