নতুন মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে জয়শঙ্করের বৈঠক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৩১ পিএম
ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ না জানানো নিয়ে দেশটির রাজনীতিতে কম আলোচনা হয়নি। এমনকি বিজেপি নেতা সুব্রামানিয়ান স্বামীসহ বেশ কিছু নেতাও মোদিকে নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছেন।
তবে, নয়াদিল্লির জন্য কিছুটা স্বস্তির খবর। ট্রাম্পের দ্বিতীয় শপথ গ্রহণের পর, নতুন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে।
বর্তমানে জয়শঙ্কর মার্কিন সরকারের আমন্ত্রণে ওয়াশিংটনে অবস্থান করছেন। সফরে ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রথম সারিতে উপস্থিত ছিলেন।
এরপর মঙ্গলবার মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও স্টেট ডিপার্টমেন্টে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
সামাজিকমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে জয়শঙ্কর এ নিয়ে লিখেছেন, মার্কো রুবিওর সঙ্গে তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে পেরে আমি আনন্দিত। আমরা আমাদের বিস্তৃত দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব নিয়ে আলোচনা করেছি, যার তিনি একজন দৃঢ় সমর্থক।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া, বিভিন্ন আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক ইস্যুতে মতবিনিময় করেছি। আমাদের কৌশলগত সহযোগিতা এগিয়ে নিতে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য আমি অপেক্ষা করছি।
শুধু তাই নয়, নতুন মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন জয়শঙ্কর।
আরেক পোস্টে জয়শঙ্কর লিখেন, আজ বিকেলে আবারও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ওয়াল্টজের সঙ্গে দেখা করতে পেরে খুব ভালো লাগল। আমরা আমাদের বন্ধুত্বকে শক্তিশালী করার ব্যাপারে আলোচনা করেছি, যাতে পারস্পরিক সুবিধা নিশ্চিত করা যায় এবং বিশ্বব্যাপী স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। একটি সক্রিয় এবং ফলপ্রসূ এজেন্ডা নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার জন্য আমি উন্মুখ।
এছাড়াও ওয়াশিংটন সফরে কোয়াড জোটের মন্ত্রীপর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ঐতিহ্যগতভাবে কানাডা বা মেক্সিকোর মতো প্রতিবেশী দেশ অথবা ন্যাটো মিত্রদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করে থাকেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। তবে মার্কো রুবিও কোয়াড মন্ত্রীপর্যায়ের বৈঠক দিয়ে তার ইনিংস শুরু করেছেন। এছাড়া চীনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার জন্য পরিচিত তিনি।
কোয়াড, অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়া, ভারত, জাপান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমন্বয়ে গঠিত এই জোট ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম মেয়াদে শুরু হয়। বাইডেন প্রশাসন এটি আরও উচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করে।