আড়াই বছরেও বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারেনি পাকিস্তানের বন্যাকবলিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্তরা।

২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া প্রায় এক কোটি মানুষ এখনো পানিবাহিত রোগ, সুপেয় পানি সংকট, অস্বাস্থ্যকর পায়ুনিষ্কাশন, বিষাক্ত সাপের উপ্রদবসহ নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। 

বন্যাকবলিত অঞ্চলের সাধারণ মানুষ ডায়রিয়া, কলেরা, টায়ফয়েডের মত মরণব্যধি তে আক্রান্ত হচ্ছে বলে ব্যাপকভাবে খবর পাওয়া গেছে।খবর খামা প্রেসের।  

আন্তর্জাতিক মানবতাবাদী সেবাপ্রতিষ্ঠান রেড ক্রসের তথ্যমতে বন্যাকবলিত অঞ্চলের ৩০ লাখেরও বেশি দুগ্ধপোষ্য ও নাবালক শিশুরা সবচেয়ে বেশি ঝুকির মধ্যে রয়েছে। 

সংগঠনটির পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আশ্রয়স্থল, ইমারজেন্সি ক্যাম্প ও পাব্লিক বিল্ডিংয়ে বসাবসরত সাধারণ মানুষ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে জীবন যাপন করায় বিভিন্ন মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। 

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষদের জন্য সরকারের উল্লেখযোগ্য কোন পদক্ষেপ না থাকায় কেন্দ্রীয় সরকার ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছে। শুধু  সিন্ধু প্রদেশই প্রায় ১৪ লাখ মানুষ এখনো সাময়িক আশ্রয়স্থলে বসবাস করছে।

ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়গুলো এখনো স্বাস্থ্যঝুঁকি এবং খাদ্য অনিরাপত্তার সম্মুখীন হচ্ছে বলে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এ বিষয়ে সরকারের বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সহায়তা সীমিত বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।  

বন্যার পানির এক জায়গায় বদ্ধ থাকার কারণে বিভিন্ন রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়ায় বয়স্ক ব্যক্তি, শিশু এবং গর্ভবতী নারীরা অসুস্থতা এবং মৃত্যুর উচ্চতর ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। 

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে পাকিস্তানে ভয়ংকর বন্যা হয়েছিল। তিন কোটি ৩০ লাখ মানুষ তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। এক হাজার ৭৩৯ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। তিন হাজার কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছিল।

এছাড়া ২০২৩ ও ২৪ সালেও পাকিস্তানে ভারি বৃষ্টিতে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল।