অবশেষে ঘনিয়ে এলো গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকরের সময়। স্থানীয় সময় রোববার সকাল সাড়ে ৮টা থেকেই কার্যকর হতে যাচ্ছে বহু আকাঙ্ক্ষিত এই চুক্তিটি। 

শনিবার কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বার্তায় জানান, ‘চুক্তির পক্ষগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের পর গাজা উপত্যকায় স্থানীয় সময় রোববার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ৮টা ৩০ মিনিট থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হবে’। 

তিনি এ সময় গাজার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার, সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করার এবং সরকারিভাবে নির্দেশিত তথ্যের জন্য অপেক্ষা করার আহ্বান জানান।

এর আগে দখলদার ইসরাইল সরকার শুক্রবার রাতে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করে। প্রথমে ছোট পরিসরের নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা এই সিদ্ধান্তে সম্মতি দেয়। এরপর শনিবার দেশটির পুরো মন্ত্রিসভাও চুক্তিটি অনুমোদন দেয়।

আল-মায়াদিনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরাইলি মন্ত্রিসভার ২৪ জন সদস্য এই চুক্তির পক্ষে ভোট দিয়েছেন। অন্যদিকে ৮ জন মন্ত্রী এর বিরোধিতা করেছেন।

চুক্তির প্রথম পর্যায়ের শর্তাবলী

ফিলিস্তিনি একটি সূত্র জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির সঙ্গে সম্পর্কিত বন্দি বিনিময় প্রক্রিয়ায় প্রতিটি নারী বা শিশু বন্দির মুক্তির বিপরীতে ইসরাইলি কারাগার থেকে ৩০ জন ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পাবে। তেমনিভাবে ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সি এবং অসুস্থ বন্দিদের মুক্তির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য।

এছাড়া, এই চুক্তির অধীনে মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের পুনরায় একই অভিযোগে গ্রেফতার করা যাবে না এবং পূর্বের অভিযোগে তাদের আর শাস্তিও ভোগ করতে হবে না। 

এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়ন হওয়ার আগের ২৪ ঘণ্টাতেও অব্যাহত রয়েছে ইসরাইলি হামলা। এ সময়ে ইসরাইলি বাহিনী আরও ২৪ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। যা নিয়ে গাজায় এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৪৭ হাজার অতিক্রম করেছে।সূত্র: আনাদোলু